• জঙ্গলমহল ফের অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি, ঝাড়গ্রামে এসে বললেন ছত্রধর
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্ৰামে ফিরলেন ছত্রধর মাহাত। রবিবার তৃণমূল নেতার ঘরে ফেরা নিয়ে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। মালা পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। জেলায় ফিরেই বাম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, বিজেপি জঙ্গলমহলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। চক্রান্ত রুখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। 


    রবিবার দুপুরে ছত্রধর মাহাত স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে গাড়িতে করে জেলায় প্রবেশ করেন। জেলায় ঢুকে প্রথমে গুপ্তমণি মন্দিরে পুজো দেন। সেখান থেকে বালিভাষা, লোধাশুলিতে যান। দলীয় নেতা কর্মীরা সেখানে মালা পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রাম, কলেজ মোড়, সাবিত্রী সিনেমা হল মোড় এলাকায় দলের নেতা কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে তাকে সংবর্ধনা দেন। লালগড়েও বড় করে সংর্ধনার আয়োজন করা হয়। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষও তাঁকে স্বাগত জানান। তৃণমূল নেতা মানস মণ্ডল বলেন, সকাল থেকে দলের নেতা-কর্মীরা ছত্রধর মাহাতর আসার অপেক্ষায় ছিলেন। পথে তাঁর গাড়ি থামিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এমন এক নেতাকে ফিরে পেয়ে আমরা আপ্লুত। সামনের দিনে জেলার রাজনীতিতে উনি নিশ্চিতভাবে বড় ভূমিকা পালন করবেন। সাবিত্রী সিনেমা হলের মোড়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারাণ্ডি, ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ উত্তরীয় পরিয়ে ও পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। ছত্রধর মাহাত সেখানে বলেন, বামফ্রন্ট সরকার ১০ বছর আমাকে জেল খাটিয়েছিল। অমিত শাহের দলবলের সৌজন্যে আবার আড়াই বছর জেলের মধ্যে থাকতে হয়েছে। ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিজেপি জঙ্গলমহলকে আবার অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সামনের দিনে দলের সকল নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। 


    সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার এদিন বলেন, নিজের দলেই উনি এখন কোণঠাসা। রাজনৈতিক জমি ফিরে পেতে এখন এইসব কথা বলছেন।  জেলার বিজেপি সভাপতি তুফান মাহাত বলেন, বিজেপি রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে লড়াই করে। দেশের অনেক রাজ্যে বিজেপি শাসক দলের দায়িত্ব পালন করছে। সেখানে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর হয় না। খুন হতে হয় না। এই রাজ্যে সেটা হয়। রাজনৈতিক স্বার্থে উনি বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এখন ওঁর এইসব কথা জেলার বাসিন্দারা বিশ্বাস করবেন না।
  • Link to this news (বর্তমান)