ঝাড়গ্রামে এবার ২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা প্রশাসনের
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে পাকা ধান খামারে তোলার কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। সরকারি সহায়ক মূল্যে সেই ধান কেনার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও খাদ্যদপ্তর। ইতিমধ্যে জেলায় ৫১হাজার ২১৯ জন চাষি ধান বিক্রির জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ধান কেনার জন্য বিভিন্ন ব্লকে প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। খামারে বেশি সময় ধান জমে থাকলে হাতির হানায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। চটজলদি ধান বিক্রি করতে পারবেন জেনে খুশি এলাকার চাষিরা। জেলা খাদ্য নিয়ামক সুজয় দাস বলেন, এবারে জেলায় দু’লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫১হাজার ২১৯জন চাষি নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ধান কেনার সঙ্গে ৫১টি স্বসহায়ক দল ও ১০টি সমবায় সমিতি ও চারটি এফপিসি যুক্ত থাকছে।
আগে ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে আধার, ভোটার কার্ড, জমির কাগজপত্র জমা করে রেজিস্ট্রেশন করে চাষিদের ধান বিক্রির কুপন সংগ্রহ করতে হতো। তাতে চাষিরা নিজের ইচ্ছামতো ধান বিক্রি করতে পারতেন না। এখন অনলাইনে ধান বিক্রির আবেদন নিজেরাই করতে পারছেন। ধান ক্রয়কেন্দ্র গুলিতে প্রশাসনের তরফে ফেস্টুন টাঙিয়ে চাষিদের সচেতন করা হয়েছে। ফলে এলাকায় ফড়েদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে। সেইসঙ্গে সারা বছর জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাতির উপদ্রব থাকায় চাষিরা পাকা ধান চটজলদি বিক্রি করা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন। গত বছরের তুলনায় ধানের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গত বছর কুইন্টাল প্রতি কুড়ি টাকা উৎসাহ ভাতা সহ ধানের দাম ছিল ২২০৩ টাকা। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ২৩২০ টাকা।
সাঁকরাইলের চাষি বিশ্বরঞ্জন মাহাত বলেন, সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য আমাদের এলাকার চাষিরা উৎসাহী। বেশিরভাগ চাষির নাম রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। সারা বছরে এক-একজন চাষি তিনবার সর্বোচ্চ ৯০কুইন্টাল ধান বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন। সারা বছর ধরেই হাতির উপদ্রব রয়েছে। খামারে ধান জমা না রেখে তাড়াতাড়ি সবাই ধান ঝেড়ে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন। সময় মতো ধান বিক্রি করতে পারব। এতে আমরা খুশি। পৌষ সংক্রান্তির টুসু পরবের আগে সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করব।