চারটি তীর্থস্থানকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা রাজ্যের
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: খয়রাশোলের চারটি তীর্থস্থানকে পর্যটকদের কাছে এক ছাতার তলায় আনতে সার্কিট ট্যুরিজমের ভাবনাচিন্তা শুরু করল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকায় গিয়ে মাদুর পেতে বসে কথা বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। ময়নাডাল চৈতন্য মহাপ্রভু মন্দির, ভীমগড়ের পাঁচড়ার গীতাভবন, খয়রাশোল বলরাম মন্দির, দেবগঞ্জ পুরনো বক্রেশ্বর মন্দির এই চার তীর্থস্থান এবার ঢেলে সাজানো হবে। সম্প্রতি এলাকায় গিয়ে আশার কথা শোনান জেলাশাসক বিধান রায়, মহকুমা শাসক(সদর) সুপ্রতীক সিনহা সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলাশাসক বলেন, সার্কিট ট্যুরিজমকে আমরা খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। খয়রাশোলের চারটি জায়গা বৈষ্ণবদের অন্যতম তীর্থস্থান। তাঁরা যাতে জেলায় সহজে আসতে পারেন এলাকায় থাকতে পারেন সেজন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই জেলা পর্যটনের জেলা। খয়রাশোল তার মধ্যে অন্যতম স্থান পাবে বলেই আশা রাখি।
আধিকারিকরা মন্দিরে গিয়ে মাটিতে মাদুর পেতে বসে চা খেতে খেতে নানা আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পর্যটকদের জন্য ময়নাডালে মন্দিরের জমিতে দোতলা একটি অতিথি নিবাস তৈরি করা হবে। সেখানে পর্যটকদের থাকার সুব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও মন্দির চত্বর আলোয় মুড়ে ফেলা হবে। পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কাজ শুরু হচ্ছে। এছাড়াও বৈষ্ণবীয় ভাবধারার কীর্তনীয়া সম্প্রদায়কে আরও একসূত্রে বাঁধতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কীর্তন শেখার জন্য একটি বড় ক্লাসরুম তৈরি হবে। যাঁরা শিখতে চান তাঁদের জন্য লাইব্রেরি, রেকর্ড রুমের ব্যবস্থা থাকছে। এলাকায় তৈরি হবে বিশাল মাপের একটি মিউজিয়াম। যেখানে বিভিন্নজনের কাছে থাকা ধর্মীয় নানা নথিপত্র জোগাড় করে সেই মিউজিয়ামে রাখা হবে। এছাড়াও পুকুরপাড় বাঁধানো হবে। প্রাচীন গাছগুলিকে আরও ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই চার তীর্থস্থানকে এক সুতোয় বাঁধতে প্রশাসন যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার রূপরেখা আঁকা হয়েছে।
প্রশাসনের আধিকারিকরা রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১১২কিমি জাতীয় সড়ককে ফোর লেন করতে প্রাথমিক সমীক্ষা শুরু করলেন। এদিন গুগুল ম্যাপের সঙ্গে লাইভ লোকেশন মিলিয়ে রাস্তার গতিপ্রকৃতি দেখা হয়। কোন কোন এলাকায় বাড়ি, স্কুল ভাঙতে হবে তাও খতিয়ে দেখা হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, ফোর লেন তৈরির বিজ্ঞপ্তি জারির আগে ও পরে নতুন করে ওই জায়গায় নির্মাণ হয়েছে কিনা সেটা গুগুল লাইভ ম্যাপ দেখে খতিয়ে দেখা হবে। পরে নির্মাণগুলির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া আদৌ যাবে কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে প্রশাসন।