• কালীপুজোর পক্ষকাল পরেও মাঠজুড়ে পেরেক, প্লাস্টিক পড়ে, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: কালীপুজো মিটেছে ক›দিন হল? মাঠের সামনে চায়ের দোকানে বসে প্রৌঢ় বললেন, তা প্রায় দিন পনেরো তো বটেই। দোকানদারের জবাব, এতদিন পরেও মাঠটার অবস্থা দেখছেন? আড়ংঘাটার যে দু’টি মাঠে ছ’ খানা বিগ বাজেট পুজো হয়, তার দুরবস্থা নিয়ে এখন নিত্য আলোচনা হচ্ছে এভাবেই। আড়ংঘাটার মাঠগুলি পুজোর সময়ে যে উৎসাহ নিষ্ঠা নিয়ে সোজিয়ে তোলা হয়েছিল পুজোর সময়ে, পুজোর পরে সেই মাঠের সাফাইয়ের দিকটি ঠিক ততটাই অবহেলিত। প্লাস্টিক, পেরেক, বাঁশ, আবর্জনার স্তূপ ছড়িয়ে ছড়িয়ে কার্যত শ্রীহারা অবস্থা। 


    আড়ংঘাটা পুলিস ফাঁড়ির ঠিক বিপরীতে রয়েছে একটি ফুটবল মাঠ। এলাকার সবচেয়ে বড় খেলার জায়গাও এটি। প্রতিবছর এই মাঠেই চার চারটি বিগ বাজেটের পুজো হয়। মাঠের চার কোণ জুড়ে বাহারি থিমে সেজে ওঠে মণ্ডপগুলি। এবছরও একইভাবে চোখ ঝলসানো থিমে সেজে উঠেছিল আড়ংঘাটা। মাঠে মেলাও বসেছিল। অথচ কালীপুজোর পর প্রায় ১৫ দিন কেটে গেলেও মাঠ সাফাইয়ের নামগন্ধ নেই। উদ্যোক্তারাও নির্বিকার। ফলে মাঠজুড়ে প্রকট দূষণের ছবি। অজস্র প্লাস্টিক, আবর্জনা নষ্ট করছে সুন্দর খেলার মাঠটিকে। প্যান্ডেলগুলির অধিকাংশই এখনও খোলা হয়নি। ফলে বাঁশ, পেরেকও ছড়িয়ে রয়েছে যত্রতত্র। 


    এই মাঠ থেকে খানিক স্টেশনমুখী এগতেই রাস্তার বাঁ ধারে রয়েছে আরও একটি মাঠ। এই মাঠেও দু’টি বড় পুজো হয়। থিমের বাহার থাকে এখানেও। কিন্তু ফাঁড়ির উল্টোদিকের মাঠের মতোই অবস্থা এই মাঠেরও। দু’টি পুজোর আয়োজন হলেও, কোনও উদ্যোক্তাই এখনও মাঠ পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে বলেন, প্যান্ডেল খোলার কাজ কিছুটা হয়েছে বটে। কিন্তু সাফাই হয়নি। খেলার মাঠ যত দ্রুত সম্ভব আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়াই উচিত। তবে যতক্ষণ না পুরোপুরি প্যান্ডেল খোলা হচ্ছে ততক্ষণ সাফাই করেও আবার লাভ নেই। যদিও পঞ্চায়েতে তরফে জানা গিয়েছে, আড়ংঘাটা শ্যামাপূজা সমন্বয় কমিটি এবং অন্যান্য পূজা উদ্যোক্তাদের বিসর্জনের পর মাঠ সাফাই করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। বহু আগেই সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত। কিন্তু মাঠ আগের জায়গায় ফেরেনি।
  • Link to this news (বর্তমান)