• অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে অপসারিত মামুন শেখ, তৃণমূলের অন্দরে ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা বোলপুর: কোর কমিটির বৈঠকের পরেও কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েত নিয়ে দলের অন্দরে ঠান্ডা লড়াই থামার নাম গন্ধ নেই। শনিবার বৈঠক শেষে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা নানুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক কাজল শেখ জানিয়েছিলেন, কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে মামুন শেখকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।‌ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে এক ব্যক্তি কেবল এক পদেই থাকবেন। মামুন যেহেতু সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হিসেবে রয়েছেন, সেজন্য তাঁকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। যদিও এ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেন মামুন। রবিবার তিনি বলেন দল, থেকে এই ধরনের কোনও নির্দেশ এখনও পাইনি। তাই, আমার অঞ্চলে দলীয় কর্মসূচি যা রয়েছে, সেগুলির কাজ চালিয়ে যাব। এমনকী, কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, কাউকে বহিষ্কার বা সরানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ফলে, মামুন শেখের ওই পদে থাকা নিয়ে ক্রমেই দলের অন্দরে ধন্দ ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এমতাবস্থায়, কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েত নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত থাকে কি না, সেদিকেই নজর সকলের।


    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার থেকে ফেরার পরই কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। ভৌগোলিকভাবে, বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লকের ছ’টি অঞ্চল রয়েছে নানুর বিধানসভায়। তার মধ্যে কঙ্কালীতলা একটি। যদিও একটা সময় পর্যন্ত বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে থেকেই এই পঞ্চায়েত পরিচালিত হতো। কিন্তু ছবি বদলায় অনুব্রতর জেলবন্দি হওয়ার পর। কাজল শেখকে কোর কমিটির অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি কেতুগ্রাম ও নানুর বিধানসভার পর্যবেক্ষকেরও দায়িত্বভার তাঁর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ে উপপ্রধান মামুন, কাজলের সঙ্গে থাকলেও অনুব্রত ফিরতেই ফের পট পরিবর্তন হয়। কাজলের পরিবর্তে অনুব্রতর অনুগামী হন মামুন। বিষয়টি কাজল যে ভালোভাবে নেননি, অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে মামুনকে সরিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। 


    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক বিধান মাজি বলেন, বিধানসভার পর্যবেক্ষকের সঙ্গে মিলিত সিদ্ধান্তই শেষ কথা। ওই অঞ্চল চালানোর জন্য পাঁচজনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‌তাঁদের নাম দ্রুত প্রকাশ করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)