নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: আসানসোল পুরসভা এলাকায় তীব্র জলকষ্ট সত্ত্বেও ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। শহরবাসীর জন্য পর্যাপ্ত জলটুকু ছাড়ছে না কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তিনি রবিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন, এতদিন ডিভিসি দু’হাজার কিউসেক করে জল ছাড়ছিল। এদিন থেকে তা সকালে এক হাজার কিউসেক হারে ও বিকেল থেকে ৫০০কিউসেক হারে জল ছাড়বে বলে জানিয়েছে। তাতে সমস্যা আরও বাড়ছে। ডিভিসি, কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশনের সঙ্গে আসানসোল পুরসভার দ্বৈরথ তুঙ্গে উঠেছে। যদিও দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেটরি কমিটির মেম্বার সেক্রেটারির দাবি, নদীতে জলের স্রোত পরিবর্তন হওয়ার জন্যই এই সমস্যা হয়েছে। আমরা পানীয় জলের জন্য পর্যাপ্ত জল ছাড়ছি।
কয়েকদিন ধরেই আসানসোল শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলসঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। জল সমস্যা ছড়িয়ে পড়েছে জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ এমনকী ইস্কোর কারখানার মধ্যেও। দামোদর নদীতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, শীতকালে নদীর রূপ প্রখর গ্রীষ্মকালের মতো। অত্যন্ত সরু নদীর জলের প্রবাহ বাঁকুড়া জেলার কোল ঘেঁষে যাচ্ছে। নদীর অন্য প্রান্তে থাকা পুরসভা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জল প্রকল্পগুলি বালির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় নদীর বুক চিরে চ্যানেল কেটে বাঁকুড়ার দিক থেকে জলের স্রোত আনার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি বলে মেয়রের দাবি। বর্ষার পরই এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পরবর্তী মাসগুলিকে কী হবে তা ভেবেই অনেকে উদ্বিগ্ন। দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেটরি কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি শশী রাকেশ বলেন, পুরসভার দাবি মেনে ১৫০০ একর ফুট করে বাড়তি জল ছাড়া হচ্ছে। নদীর স্রোত অন্যদিকে চলে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তা পুরসভাকেই মেটাতে হবে। বেশিদিন ধরে বাড়তি জল ছাড়তে হলে বোরো চাষের জন্য তখন পর্যাপ্ত জল ছাড়া সম্ভব হবে না।