• রাসমেলার প্রথম দিনেই রেকর্ড গড়ল ভেটাগুড়ির জিলিপি, বিক্রি ৭০০ কেজি
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: রাসমেলায় প্রথম দিনই বিক্রিতে রেকর্ড গড়ল ভেটাগুড়ির জিলিপি। শনিবার কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার সূচনা হয়েছে। রাসমেলায় ঘুরে ভেটাগুড়ির জিলিপি খাব না, এটা যেন ভাবাই যায় না। তাই কেউ মেলায় বসে ভেটাগুড়ির জিলিপি খান। আবার কেউ মেলা ঘুরে জিলিপি কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। 


    রাসমেলা প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে। বিক্রেতার দাবি, প্রথম দিনই ভেটাগুড়ির জিলিপি স্টল থেকে ৭০০ কেজি জিলিপি বিক্রি হয়েছে। শনিবার পাঁচটি উনুনে ওই বিপুল পরিমাণ জিলিপি ভাজা হয়। ধাপে ধাপে মোট ১৪টি উনুন বসানো হচ্ছে। তারমধ্যে রবিবার সাতটি উনুন বসানো হয়েছে। 


    এদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় মেলায় সার্কাসের উদ্বোধন হয়। রাত যত গড়িয়েছে মেলার মাঠ তত গমগম করেছে। এরই মধ্যে ভেটাগুড়ির জিলিপির স্টলে ভিড় করে বহু লোক। এক কেজি জিলিপি ১৮০ টাকা করে বিক্রি হয়। ২১২ বছরের পুরনো রাসমেলায় ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিক্রি হচ্ছে ভেটাগুড়ির জিলিপি। ভেটাগুড়ির বাসিন্দা বিধুভূষণ নন্দী প্রথম এই মেলায় জিলিপি বিক্রি শুরু করেন। তারপর তাঁর ছেলে দিলীপকুমার নন্দী দীর্ঘদিন এই ঐতিহ্য বজায় রাখেন। বর্তমানে দিলীপবাবুর ছেলে অসিত নন্দী ও তাঁর কাকা বিশ্বজিৎ নন্দী দোকান সামলান। 


    অসিতবাবু বলেন, শনিবার রাসমেলা উদ্বোধনের দিনই ৭০০ কেজি জিলিপি বিক্রি হয়েছে। অন্যবার প্রথম দিকে আমরা কয়েকটি উনুন জ্বালাই। কিন্তু এবার প্রথম দিনই পাঁচটি উনুন জ্বালিয়ে জিলিপি ভাজি। বিক্রিও ভালো হয়েছে। রাসমেলার দিনগুলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভেটাগুড়ির জিলিপি স্টলে উনুন জ্বলে। মোট ৪০ জন কারিগরি রাখা হয়েছে। ১৫ দিনের রাসমেলায় ৪০০টিন সাদা তেল, ৫০ কেজি ওজনের ১২০০ বস্তা চিনি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ৪০০-৪৫০ বস্তা ময়দা আনা হচ্ছে। 


    এই বিপুল আয়োজন করতে বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয় নন্দী পরিবারের। কারণ রাসমেলার সঙ্গে তাঁদের জিলিপির নাম যে জড়িয়ে গিয়েছে! মেলার দিনগুলিতে ভেটাগুড়ির জিলিপি কিনতে অনেক সময়ই লাইন দিতে হয়। সন্ধ্যার পর জমজমাট মেলায় গেলেই দেখা যায় লম্বা লাইন দিয়ে মানুষ জিলিপি কিনছে। অনেকে দোকানে বসে সপরিবারে বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে জিলিপি খান।  বিকোচ্ছে ভেটাগুড়ির জিলিপি। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)