• তারকেশ্বরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ল ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা,  কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: তারকেশ্বর পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এনিয়ে কাউন্সিলার ও পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুরসভার দাবি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটু বেশি হলেও, গত বছরের তুলনায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এবার বরং কম।


    গত এক মাসে তারকেশ্বর পুরসভায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও গোটা রাজ্যের মতো এই বছর আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত তারকেশ্বর পুরসভা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭ জন। নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত ছিলেন প্রায় ৪৮ জন। এই বছর চলতি মাস পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। এছাড়া ভিন রাজ্য ও জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে কিছু মানুষ তারকেশ্বরে এসেছিলেন।


    তবে তারকেশ্বর পুরসভার সমস্যা বাড়িয়েছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। এবছর এই ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন। এর মধ্যে দুইজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন। ওয়ার্ডের শাখারিপাড়াতেই আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার সক্রিয় কর্মীর অভাবের জন্য এবং এই এলাকায় কয়েকটি পরিত্যক্ত জমি থেকে মশার বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা সুরভি মিত্র ও মল্লিকা চৌধুরী কর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে একটি সমস্যা রয়েছে। পুরসভা সেই সমস্যার সমাধান করলে আজ ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে বাড়তো না।


    তারকেশ্বর টাউন কংগ্রেসের নেতা শৈল ঘোষ সরাসরি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, কাউন্সিলারের ছেলে সুপারভাইজার। কিন্তু তিনি কাজ না করেই টাকা তুলে নিচ্ছেন বলে আমাদের কাছে খবর আছে। রাজ্য সরকার ডেঙ্গু নিবারণের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করছে, মুষ্টিমেয় কিছু নেতা সেই টাকার অপব্যবহার করছেন। পুরসভার এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।


    এদিকে, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমরেন্দ্রনাথ সামুই বলেন, মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যে বেড়েছে, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এনিয়ে পুরসভা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। 


    তারকেশ্বর পুরসভার হেল্থ অফিসার দেবাঞ্জন চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপুজোর পর আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেড়েছে। পুজোর সময় অনেকে বাইরে থেকে ডেঙ্গু নিয়ে এই এলাকায় এসেছেন। এছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জল নিকাশির সমস্যা রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। তবে আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটাই কম। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে ৭-৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রয়েছেন। আশা করি দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা কমবে।
  • Link to this news (বর্তমান)