আক্রান্ত মাত্র ১৭, কাকদ্বীপে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিংহভাগ সফল প্রশাসন
বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ব্লক প্রশাসন, স্বাস্থ্যদপ্তরের যৌথ প্রচেষ্টায় সাফল্য মিলল কাকদ্বীপ ব্লকে। অনেকটাই আটকান সম্ভব হল মশাবাহিত ডেঙ্গুর মতো ব্যাধি। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে কাকদ্বীপ ব্লকে ১৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে চলতি বছরে সংখ্যাটি অনেক কম। এখনও পর্যন্ত এই ব্লকে মাত্র ১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই একটু ঠান্ডা পড়তেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এই ব্লকের শহর অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিশেষত প্রতাপাদিত্যনগর, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা গত বছর বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই তুলনায় গ্রামীণ অঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল কম। এ বিষয়ে কাকদ্বীপের বি পি এইচ এন (ব্লক পাবলিক হেল্থ নার্স) শিবানী মণ্ডল বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য এ বছর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। ভিসিটি (ভেক্টর কন্ট্রোল টিম), গ্রামীণ সেবিকা ও আশা কর্মীদের সক্রিয় করা হয়েছিল। ভিন রাজ্য থেকে কোনও ব্যক্তি এই ব্লকে এলেই তাঁদের বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে যেতেন। ওই ব্যক্তিকে বাড়ির ভিতরে মশারি টাঙিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পরামর্শ দেওয়া হতো। এছাড়া গ্রামে কারও জ্বর হলেই সেই খবর চলে আসতো স্বাস্থ্যদপ্তরে। সঙ্গে সঙ্গে সেই বাড়িতে পৌঁছে যেতেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হতো। ডেঙ্গু পজেটিভ হলেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। প্রায় রোজই এই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের একটি জায়গায় একত্রিত করে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করা হতো।
আর কাকদ্বীপের বিডিও ঋক গোস্বামী বলেন, এবছর ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বারবার মিটিং করা হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকে পানাপুকুর সংস্কার করা সহ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও নিয়ম মেনে ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো ও স্প্রে করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র