সূত্রের খবর, ওই দিন ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তিন জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা। সূত্রের খবর, ৯ অগস্ট নিহত ডাক্তার ছাত্রীর সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট) করা হয়। শিয়ালদহ আদালতের এক বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুরতহালের রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। সুরতহালের সময়ে উপস্থিত ওই ম্যাজিস্ট্রেট, এক জন চিকিৎসক এবং সুরতহাল ও ময়না তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির এক কলাকুশলীরও এ দিন সাক্ষ্য গ্রহণ হতে পারে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ওই তিন জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। নিহত ডাক্তার ছাত্রীর সুরতহাল এবং ময়না তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। সেই কারণেই ওই তিন জনের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তদন্তকারীদের অভিমত। ওই দিনও সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গত সোমবার থেকে ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শুরু করা হয়েছে। আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-সহ এখনও পর্যন্ত ন’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ওই মামলায় ১২৮ জনের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫১ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে পেশ করা হচ্ছে। ওই দিন আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া খুন ও ধর্ষণের মামলায় জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের আদালতে পেশ করা হবে। পাশাপাশি আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে আর জি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ, তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ী সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ ও জুনিয়র চিকিৎসক আশিস পাণ্ডে-সহ পাঁচ জনকে পেশ করার কথা।