মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন আগামী ২০ নভেম্বর। ওই দিনেই ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। মহারাষ্ট্রে গিয়ে রবিবার মুম্বই ও পুণের বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার সেরেছেন শুভেন্দু। বাংলায় অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা মহারাষ্ট্রেও তুলেছেন। অন্য দিকে, শনি ও রবিবার অধীর গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকায় প্রচারে। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটে এ বার এআইসিসি-র তরফে অন্যতম ‘সিনিয়র’ পর্যবেক্ষক তিনিই। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সঙ্গে আসন সমঝোতা, কংগ্রেসের কৌশল এবং দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সামলানোয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে অধীরের।
মরাঠা ভূমের বাঙালিদের সামনে এ দিন বিজেপির হয়ে নিবিড় প্রচার সেরেছেন শুভেন্দু। গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতেও। দাদারে বিজেপির কার্যালয়ে ‘জাগ্রত বাংলা’ শীর্ষক একটি আলোচনা-সভায় গিয়ে রাজ্যের বাংলাভাষীদের একজোট হতে আবেদন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিজেপিকে সমর্থনের আর্জিও জানিয়েছেন। বাংলার অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকে গোটা দেশের জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে পুণেতে একটি সভায় গিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে এক হাত নিয়েছেন। পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘ইন্ডিয়া’ জোট দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় যদিও পাল্টা বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু পরিবারতন্ত্রের কথা বলার সময়ে শিশিরবাবু শুনতে পেয়েছেন কি? নির্বাচনী বন্ডে যারা কোটি কোটি টাকা তুলেছে, দুর্নীতির গুরুঠাকুরদের সেই দলে গিয়ে তিনি দুর্নীতির কথা বলছেন!’’
ঝাড়খণ্ডেও বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে শুভেন্দুর। পড়শি রাজ্যে এর আগে একাধিক জায়গায় তিনি প্রচার করেছেন। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোরাও সে রাজ্যের প্রচারে সময় দিচ্ছেন। পাশাপাশি, কংগ্রেসের অধীর লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সঙ্গে ভোটের সভা করেছেন। অধীরের মতে, ‘‘অন্য রাজ্যে এআইসিসি যা দায়িত্ব দিয়েছে, তা-ই পালন করার চেষ্টা করছি। নির্বাচনী পর্যটক হয়ে লাভ নেই!’’