• পাঁচ মাসের ব্যবধানে অ্যাক্রোপলিসে ফের আগুন, আতঙ্ক! কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় অবস্থা নিয়ন্ত্রণে
    আনন্দবাজার | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। মলের ফুড কোর্টের একটি দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সেই দোকানের রান্নার জায়গা থেকে আগুন ছড়ায়। তবে কিছু ক্ষণের চেষ্টাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অ্যাক্রোপলিস মলে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় উপস্থিত সকলের মধ্যে।

    জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ফুড কোর্টের একটি খাবারের দোকানে রান্নার জায়গায় আচমকাই আগুন লেগে যায়। তবে আগুন ছড়ানোর আগেই তৎপর হয়ে যান দোকানের কর্মীরা। মলের অন্যান্য কর্মীও আসেন ঘটনাস্থলে। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় মলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মলের জনসংযোগ আধিকারিক অভিষেক পাল জানান, ওই দোকানে রান্না করার সময় তেল লিক করে আগুন লাগে। তবে মল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অ্যাক্রোপলিসের জেনারেল ম্যানেজার শুভদীপ বসু বলেন, ‘‘সোমবার সকালে ফুড কোর্টের একটি ছোট আগুন লাগে। তবে আমাদের কর্মীদের তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। সাময়িক ভাবে মল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই শপিং মল খুলে দেওয়া হয়।’’

    উল্লেখ্য, গত জুন মাসে অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লেগেছিল। ফুড কোর্ট থেকেই আগুন ছড়ায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন পৌঁছেছিল ঘটনাস্থলে। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে শপিং মলের বিস্তর ক্ষতি হয়। পুরো শপিং মলকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল। উঠেছিল মলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন। ওই শপিং মলের কোনও অংশে গাফিলতি ছিল কি না, কেন আগুন লাগল, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা কতখানি সক্রিয় ছিল, ফায়ার এগজ়িট ঠিকঠাক ছিল কি না— এই সমস্ত বিষয় নিয়েই তদন্ত করে দমকল। মলের ওই বহুতলে অনেক অফিসও রয়েছে। সে সময় সেগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দমকল এবং পুরসভার ছাড়পত্র নিয়ে মেরামতির কাজ করেন অ্যাক্রোপলিস কর্তৃপক্ষ। তার পর ধাপে ধাপে শপিং মল খোলা হয়। কিন্তু সোমবারের অগ্নিকাণ্ডের পর ফের প্রশ্নের মুখে অ্যাক্রোপলিস কর্তৃপক্ষ।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)