জমিয়ে শীত পড়ার আগেই ঝাঁঝ বাড়ছে পেঁয়াজের। সেই ঝাঁঝে মধ্যবিত্তের পকেটের দফারফা। সেই অগাস্ট থেকেই বাড়ছিল পেঁয়াজের দর। এখন সেটাই পৌঁছে গিয়েছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। আগামী দিনে ১০০ টাকাতেও বিকোতে পারে বলে আশঙ্কা খুচরো বিক্রেতাদের। কারণ নাসিক থেকে পেঁয়াজের জোগান কম। কবে দাম কমতে পারে?
মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছয় পেঁয়াজ। দেশের মধ্যে ৪৩ শতাংশ পেঁয়াজের জোগান আসে এই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল থেকে। এমনকি বাংলাদেশেও যে পেঁয়াজ রফতানি হয়, তা-ও নাসিকের। সেই নাসিক থেকে আসা পেঁয়াজের জোগান কমে গিয়েছে। ৬ নভেম্বর নাসিকের পাইকারি বাজার লসলগাঁওয়ে প্রতি কুইন্টাল বিকোচ্ছে ৫,৬৫৬ টাকায়। পাইকারি দাম কেজিতে ৫৬.৫৬ টাকা।
নাসিকের পেঁয়াজের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে দু'টি কারণ। প্রথমত, পেঁয়াজ বিক্রি করে গত দুবছর লোকসান হয়েছে কৃষকদের। তাই পেঁয়াজ চাষ কমেছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালে পেঁয়াজ চাষের জমি কমেছে ৪.০৪ হেক্টর। মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ উৎপাদন অ্যাসোসিয়েশন ভরত দিগহোলের সভাপতি ওম প্রকাশ জানান,'সরকার খালি ক্রেতাদের কান্নাই দেখতে পায়। কৃষকদের দিকে তাকায় না। তাই এই অবস্থা'। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের কারণেও কমেছে পেঁয়াজ।
নাসিকের পাইকারি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দাম কমতে পারে। যদিও বাংলার পাইকারি বিক্রেতারা এই আশ্বাসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের মতে, অভিজ্ঞতা বলছে পেঁয়াজের দাম এখনই কমবে না। কমতে কমতে মার্চ গড়িয়ে যাবে। দোলের পরই কমতে পারে পেঁয়াজের দাম।
মানিকতলার এক ব্যবসায়ী জানালেন,'নাসিকের পুরনো পেঁয়াজই আসছে এখন। মার্চের রবি চাষে এই পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছিল। সেটাই বিকোচ্ছে। ফলে দাম এখনই কমার সম্ভবনা নেই। মার্চে আসবে বাংলার নিজস্ব পেঁয়াজ সুখসাগর। সেই সুখসাগর পেঁয়াজের জোগান এলেই আপনা-আপনি দাম কমে যাবে। সেটাও দোলের পর।