হুমায়ুন বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিস মন্ত্রী হলে পুলিস আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ হবে। একজন ফুল টাইমের পুলিস মন্ত্রী থাকলে তার নজর এড়িয়ে খারাপ কাজ হওয়ার সুযোগ কম। উল্লেখ্য, এর আগে সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে জোরাল সাওয়াল করেছিলেন। সৌগত রায় বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শেষ কথা। কিন্তু ডে টু ডে দল চালানোর জন্য একজনকে দরকার। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কয়েকদিন আগেই কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলা হয়েছিল। সেই হামলার পর পুলিসের ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, কোথা থেকে এত অস্ত্র আসছে। পুলিসকে বলব অ্যাক্ট নাউ। এনাফ ইজ এনাফ।
এদিকে, হুমায়ুন কবির পুলিসের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন শুধু নয়, বরং তিনি চাইছেন একজন ফুলটাইম পুলিস মন্ত্রী। বর্তমানে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। সেই দফতর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়ার মতো গুরুতর দাবি তুললেন হুমায়ুন কবীর।
হুমায়ুন কবীর কি বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন না? বিরোধীদের বক্তব্য হল এই প্রশাসন আইন শৃঙ্খলার দিকে নজর দিচ্ছে না। তাই মহিলাদের উপরে অত্যাচার থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। সেই সুরের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের সুর মিলে যাচ্ছে।
হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, একটা পূর্ণ সময়ের জন্য পুলিসমন্ত্রী চাই এই কথাটার মধ্যে কোনও ভুল নেই। কিন্তু পুলিস যদি শৃঙ্খলাপরায়ণ হয় ও দায়িত্বপরায়ণ হয় তাহলে তাদের উচিত প্রথম হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করা। কারণ ওই লোকটা যে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথা বলেছে তা মহম্মদ গজনি ছাড়া আর কেউ এরকম কথা বলেনি। তিনি বলেছেন তিরিশ শতাংশ হিন্দুকে ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা। পূর্ণ সময়ের পুলিসমন্ত্রী নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম একজন গোরু চোর, কয়লা চোর যদি পুলিসমন্ত্রী হয়ে যায় তাহলে রাজ্যের অবস্থা কী হবে তা কখনও ভেবে দেখেছেন? এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে অভিষেককেও যদি পুলিমন্ত্রী না করা যায় তাহলে কাকে পুলিস মন্ত্রী করা হবে। পুলিসকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করানোর মতো একজনও ব্য়ক্তি নেই তৃণমূলে।