• দেখা কবে? ‘হলে হবে’! কেষ্ট-সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্নে শতাব্দীর সংক্ষিপ্ত উত্তরে ‘উপেক্ষা’র কাজল-ছায়া
    আনন্দবাজার | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেয়ে বীরভূমে ফেরা ইস্তক তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। এমনকি, দলীয় কোনও কর্মসূচিতেও দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। তৃণমূল সাংসদ এবং বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ‘দ্বৈরথ’ যে অব্যাহত, সোমবার তার ইঙ্গিত দিলেন শতাব্দী। তিনি জানিয়েছেন, অনুব্রতের সঙ্গে দেখা যে করতেই হবে, এমনটা নয়। তা ছাড়া, দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য আলাদা করে সময় বা তারিখও তিনি ভেবে রাখেননি। পাশাপাশি, অনুব্রত জেলা কোর কমিটির চেয়ারপার্সন হবেন কি না, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা ছয় ছিল। এখন এক জন যুক্ত হয়েছেন। উনি (কেষ্ট) কোর কমিটির চেয়ারপার্সন হবেন কি না এমন কোনও খবর আমার কাছে নেই।’’

    লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে কয়েক মাস হল। বিপুল ভোটের ব্যবধানে শতাব্দী বীরভূম কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। জয়ের পর শতাব্দী বলেছিলেন, ‘‘কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করতে আসব।’’ কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে কেষ্ট তিহাড় থেকে বীরভূমে ফেরার পরে যখন দলে দলে নেতা এবং কর্মীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন, সেই তালিকায় ‘উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি’ ছিল দু’জনের। প্রথম জন কাজল। দ্বিতীয় জন শতাব্দী। বস্তুত, কেষ্টর জামিনে মুক্তি প্রসঙ্গে শতাব্দীর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘ভাল, খুব ভাল। যে কর্মীদের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক ভাল, তাঁরা খুশি।’’

    আসলে শতাব্দী এবং কাজল, দু’জনের সঙ্গেই কেষ্টর সম্পর্ক ‘মধুর’। কেষ্ট জেলায় ফেরার পর তৃণমূলের তরফ থেকে বীরভূমে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রায় সব বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানেও অনুপস্থিত ছিলেন শতাব্দী এবং কাজল। সোমবার সিউড়িতে অম্রুত-২ প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে কেষ্ট প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ‘‘এখনও কোনও ডেট (তারিখ) ঠিক করিনি বা দেখা করার বিষয় নেই। দেখা হলে হবে।’’

    গত শনিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ছিল। কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পর ওই কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটির বৈঠকে প্রথম বার যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কেষ্ট। ছিলেন কোর কমিটির সদস্য কাজলও, যাঁর সঙ্গে এর আগে দলীয় কার্যালয়ে এক বারই বৈঠক হয়েছে অনুব্রতের। কিন্তু অনুব্রত এই কোর কমিটির সপ্তম সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হলেন, না কি তিনিই কোর কমিটির চেয়ারপার্সন, তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের সিদ্ধান্তকে কি আমরা ‘ইগনোর’ করব?’’ অন্য দিকে, বৈঠক থেকে বেরিয়ে জেলা সভাধিপতি কাজল বলেন, ‘‘উনি (কেষ্ট) কোর কমিটির সদস্যের পদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।’’ কাজলের মতো একই কথা বলেছেন শতাব্দীও। রবিবারই বীরভূমের সাংসদ বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের উপরে দল চলে। তাঁদের সিদ্ধান্ত, প্রত্যেককে নিয়ে কাজ করার। সুতরাং, অনুব্রত মণ্ডল কোর কমিটিতে এসেছেন, সেটা ভালই হয়েছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)