ফের অভিষেকের হয়ে ব্যাটন ধরলেন তৃণমূলের আরও এক নেতা। রাজ্যে একাধিক তৃণমূল নেতা অভিষেককে রাজ্য প্রশাসনে দেখতে চান। এবার প্রকাশ্যেই এসব ইচ্ছার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে নারায়ণ গোস্বামী। এবার হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুনের দাবি, রাজ্য প্রশাসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিষেক এই মুহূর্তেই জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণ, হাসপাতালে হামলার ঘটনা ইত্যাদি একের পর এক ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের উপর আঙুল উঠেছে। বিরোধীদের পাশাপাশি সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের একাংশও। অনেকেই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের অভাব অনুভব করেছেন। অনেকে আবার রাজ্য প্রশাসনে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে মমতার পরেই রাখতে চেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের একাধিক নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
সম্প্রতি কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যেই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ সৌগত রায়। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবার তাই সমাধানের পথ বাতলে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
এদিন তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটি সিএম ও ডেপুটি পুলিশ মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। তাহলে রাজ্যের পুলিশের সমস্যা মিটে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬ সালে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হোন, কিন্তু তাঁর আগে ডেপুটি হিসেবে এবার অভিষেকের জায়গা পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ, দিদির কিছুটা লোড কমানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অভিষেককে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চাই। তাতে বাংলার মানুষ উপকৃত হবে।’ হুমায়ুন আরও জানান, অভিষেকের হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি নিজে এই অনুরোধ রাখবেন। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ বিভাগে একজন পূর্ণ সময়ের মন্ত্রী প্রয়োজন। যিনি পুলিশের
ফাঁক-ফোঁকরগুলো মেরামত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় অভিষেকই যোগ্য ব্যক্তি।’