• কাশীপুর থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় অধরা দুষ্কৃতীরা, তল্লাশি জারি পুলিসের
    বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: প্রায় দু’সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কাশীপুর থানায় ঢুকে তাণ্ডব ও পুলিস কর্মীদের মারধরের ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু, এখনও অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জমছে। যদিও পুলিসের দাবি, অপরাধীদের ধরতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিস। জেরা করা হয়েছে একাধিকজনকে। জেলা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না। প্রসঙ্গত, কালীপুজোর রাতে থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিস। তাণ্ডবের ঘটনায় আস্তিক বেলথরিয়া, শঙ্কু বেলথরিয়া, অনুপম কর্মকার, সৈকত চৌধুরী, জিৎ সিংদেও সহ আরও চারপাঁচজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শঙ্কু জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেনের কাকা। আস্তিক সৌমেনের ভাইপো। শঙ্কু এলাকার দাপুটে ঠিকাদার এবং আস্তিক যুব নেতা হিসেবে পরিচিত। বাকিরাও তৃণমূল কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের ধরতে একাধিকবার তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। শুধু তাই নয়, শঙ্কুর ‘পরিচিত’ দুর্গাপুরের এক মহিলার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। পুলিসের দাবি, অভিযুক্তদের খোঁজে বহু জায়গাতেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পাঁচজন অভিযুক্ত একই জায়গাতেই রয়েছে। প্রত্যেকের ফোন বন্ধ। তারা এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। পুলিসের পদস্থ আধিকারিকদের অবশ্য হুঁশিয়ারি, যেখানেই গা ঢাকা দিয়ে থাকুক, বেশিদিন পারবে না। ধরা পড়বেই। এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। অস্বস্তিতে জেলা সভাপতিও। ‘এধরনের ঘটনা কোনওভাবেই কাম্য নয়’ বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছেন জেলা সভাপতি।
  • Link to this news (বর্তমান)