নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: দুবরাজপুরে এক তৃণমূল কাউন্সিলার ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে দাদাগিরির অভিযোগ উঠল। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক নার্স ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শেখ নাজিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় গালিগালাজ ও টানাহ্যাঁচড়া করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই কাউন্সিলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, রোগীর প্রেসার মাপতে বললেও ওই নার্স চাদর মুড়ি দিয়ে বসে ছিলেন।
রবিবার মাঝরাতে এক রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন শেখ নাজিরুদ্দিন। সেখানেই প্রেসার মাপতে দেরি হওয়ায় এক নার্সকে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই নার্স সোমবার দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, রাতে ওঁরা হাসপাতালে এলে আমি বলেছিলাম, প্রেসার মেপে দেব। বসুন। তারপর উনি বলেন, আমি কে জানিস? আমাকে বসতে বলছিস! এরপর আমাকে গালিগালাজ করার পাশাপাশি হাত ধরে টানাটানি করা হয়। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি।
দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, এখানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। শাসকের আইন চলছে। আমরা আর জি করের ঘটনা দেখেছি। তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরি ফের উদাহরণ হয়ে থাকল। আশা করছি, পুলিস যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ওই কাউন্সিলার পাল্টা বলেন, আমি বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক সমস্যায় রয়েছি। এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে নার্সকে বলি, আপনি প্রেসারটা অন্তত মেপে দিন। উনি আমাকে ১০মিনিট বসিয়ে রাখলেন। তারপর দেখি, ওই নার্স একটি চেয়ারের উপর পা তুলে চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছেন। বারবার বলা সত্ত্বেও সাড়া দেননি। আমার সঙ্গে থাকা একজনকে ওই নার্সের বসে থাকার ভিডিও করতে বলি। তখন একজন পুলিসের পরিচয় দিয়ে কলার ধরে টেনে বের করে। তখন আমি ধাক্কা দিয়ে সরাই। এর বেশি কিছু হয়নি। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিস সঠিকভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখুক।