খেলাধুলোয় উৎসাহ দিতে ৪৫ পড়ুয়ার ফি মকুব জলপাইগুড়ির এসি কলেজের
বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: খেলাধুলোয় উৎসাহ দিতে চলতি বছর ৪৫ জন পড়ুয়ার ফি মকুব করেছে জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কলেজ। সবমিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার ফি মকুব করা হয়েছে। আগামী দিনেও যাঁরা খেলাধুলোয় ভালো পারফরম্যান্স করবে, তাঁদের ফি মকুব করা হবে বলে জানানো হয়েছে কলেজের তরফে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এই কলেজ বরাবরই ক্রীড়ায় উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করে। গত বছর আন্তঃ কলেজ অ্যাথলেটিক্সে মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি আসে এই কলেজেই। রানার্স হয় ছেলেদের দল। পাশাপাশি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর পরিচালিত টুর্নামেন্টেও জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। অ্যাথলেটিক্সে ছেলে ও মেয়ে দু’টি বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয় এই কলেজের টিম। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত আন্তঃ কলেজ ফুটবলে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করেছে এই কলেজ। ব্যাডমিন্টনেও এসেছে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। সামনেই অ্যাথলেটিক্স রয়েছে। তাতেও কলেজের টিম দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোয় এগিয়ে থাকতেই আমরা স্পোর্টস টিম তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিই। সেকারণেই যাঁরা খেলাধুলোয় ভালো পারফরম্যান্স করে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি করছেন, তাঁদের কলেজ ফি মকুব করে দেওয়া হচ্ছে। এতে পড়ুয়াদের মধ্যেও খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস দাস বলেন, কলেজের নিজস্ব তহবিলের যথেষ্টই সঙ্কট রয়েছে। তারমধ্যেও আমরা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের কলেজ ফি মকুব করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে খেলাধুলোতেও উৎসাহী হয়, সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।
তবে, ভালো স্পোর্টস টিম তৈরির চেষ্টা করলেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের। শারীরশিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ভূষণ অধিকারী বলেন, যদি কোনও ভালো খেলোয়াড় আমাদের কলেজে ভর্তির জন্য আসেন, আমরা তাঁকে নিতে পারি না। কারণ, ভর্তির পর অনুশীলন করবে কোথায়? আমাদের কলেজে যে জিমনেশিয়াম রয়েছে, সেটির অবস্থা তথৈবচ। এখন সিন্থেটিক ম্যাট ছাড়া ভলিবল হচ্ছে না। আমাদের সেই ম্যাট নেই। কবাডি ম্যাটও নেই। যে মেঝে রয়েছে, সেখানে অনুশীলন করতে গিয়ে, যে কোনও সময় ছেলেমেয়েরা চোট পেতে পারে। তাছাড়া বৃষ্টি হলে টিনের চাল দিয়ে জল পড়ে। এই অবস্থায় মাঠেই অনুশীলন করাতে হচ্ছে। টিম থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনও ইন্ডোর গেম করাতে পারছি না।
অধ্যক্ষের দাবি, কলেজের জিমনেশিয়ামটি সংস্কারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বহুবার আবেদন জানানো হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। বেহাল জিম। - নিজস্ব চিত্র।