• পড়ুয়া না আসায় দুপুরেই স্কুলে তালা দিয়ে বাড়ি গেলেন শিক্ষকরা, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
    বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ১৭৩ জন পড়ুয়া। কিন্তু এলাকায় কীর্তন ও নবান্ন অনুষ্ঠান থাকায় সোমবার কোনও ছাত্রই স্কুলে আসেনি। ফলে এদিন নিয়ম ভেঙে মাঝদুপুরে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বাড়ি চলে গেলেন আতিয়াকুণ্ডি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা। এই অভিযোগে এদিন বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। পড়ুয়া না থাকায় দুপুর বারোটার মধ্যে স্কুল বন্ধ করে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যেতে পারেন কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বড়ুয়া পঞ্চায়েতের সিজগ্রাম এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তথা ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির পদাধিকারি বর্ণালী বর্মন রায়ের বক্তব্য, তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধের বিষয়টি কেউ আমায় জানায়নি। ‘এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি’ বলে জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক দুলালচন্দ্র সরকার। 


    অভিযোগ, স্কুল সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু এদিন যেহেতু পড়ুয়ারা কেউ আসেনি তাই শিক্ষকরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিজগ্রামে ওই স্কুল চত্বর এলাকায় নবান্ন  চলছে ঘরে ঘরে। স্কুলের সামনেই এদিন একটি রাত্রিকালীন অনুষ্ঠানের আসর বসারও প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। বাঁশ পুঁতে স্টেজ বানানো হচ্ছে স্কুলের সামনেই। আবার অনেক পড়ুয়া মাঠেঘাটে ধান শুকোনোর কাজে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ব্যস্ত। সেজন্য পড়ুয়ারা এদিন অনেকেই স্কুলে আসেনি বলে জানা গিয়েছে। ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির কয়েকজন পড়ুয়ার বক্তব্য, ছাগল যাতে না খায় সেজন্য ধান পাহারা দিচ্ছি। স্কুলের পিছনের পাড়ার বাসিন্দা ভিম সেন বর্মন বলেন, স্কুল এদিন বন্ধ ছিল। কারণ জানা নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীরকুমার সরকার বলেন, এদিন শিক্ষকরা সকলেই স্কুলে হাজির ছিলাম। কিন্তু ১৭৩ জন পড়ুয়ার কেউই স্কুলে আসেনি। আশপাশে কীর্তন চলছে। নবান্ন পালিত হচ্ছে। কেউ না আসায় শেষপর্যন্ত আমরা ফিরে যাই। তবে তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধ করে কেন তাঁরা বাড়ি চলে যান, সেবিষয়ে কিছু বলেননি প্রধান শিক্ষক।  তালা বন্ধ আতিয়াকুণ্ডি প্রাইমারি স্কুল।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)