সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: সোমবার মাথাভাঙা মহকুমা আদালত চত্বরে নির্মিয়মাণ রাস্তার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। তাতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান। রাস্তার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরাও। যদিও পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, রাস্তার কাজ এখনও শেষ হয়নি। তারপরও মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, আদালত চত্বরে বিক্ষোভের খবরে সেখানে পৌঁছে যায় মাথাভাঙা থানার পুলিস। অভিযোগ, বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতাকে থানায় ডেকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। পুলিস জানিয়েছে, আলিজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাথাভাঙা মহকুমা আদালত চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রাস্তার কারণে সমস্যায় পড়ছিলেন আদালতে আসা সাধারণ মানুষ সহ আইনজীবীরা। কিছুদিন আগে পাথর বিছিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করা হয় রাস্তাটি। সম্প্রতি পূর্তদপ্তরের তরফে আদালত চত্বরে পিচের রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছে। অভিযোগ, রাস্তায় নামমাত্র পিচের আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে। অল্পতেই তা উঠে যাচ্ছে। এদিন রাস্তার একটি অংশে পিচের আস্তরণ তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী তৃণমূল নেতা আলিজার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর আদালত চত্বরের রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে। পূর্তদপ্তরের অফিস থেকে ঢিলছোড়া দুরত্বে রাস্তার কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেখানে একেবারে নিন্মমানের কাজ হচ্ছে। আমি আদালত চত্বরে যাওয়ার পর স্থানীয়রা রাস্তার বিষয়টি জানায়। আমরা মহকুমা শাসককে ঘটনাটি জানিয়েছি। পুলিস আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখল। একটি নিন্মমানের কাজের প্রতিবাদ করায় এধরনের হেনস্তা মানতে পারছি না।
মাথাভাঙা বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ রায়বসুনীয়া বলেন, আদালত চত্বরে পিচের রাস্তাটির মান নিয়ে আমাদেরও প্রশ্ন রয়েছে। সেই বিষয়টি পূর্তদপ্তরকে জানানো হয়েছে। পূর্তদপ্তরের মাথাভাঙার বাস্তুকার সুবোধ কর্মকার বলেন, রাস্তাটির কাজ চলছে। যে সমস্ত সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর মান যাচাই করেছি আমরা। পিচের আস্তরণ দেওয়ার কাজ শেষ হলে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।
এদিকে নেতাকে থানায় বসিয়ে রাখার বিষয়ে মাথাভাঙা থানার আইসি হেমন্ত শর্মা বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিস সেখানে যায়। রাস্তার একটি অংশের পিচ তুলে ফেলা হয়েছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে আলিজারবাবুর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। পরবর্তীতে উনি চলে গিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ ঠিক নয়।