কালোবাজারি করলে লাইসেন্স বাতিল, সার ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি
বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ইটাহার: সারের কালোবাজারি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তেই সার ডিলার ও খুচরো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। সারের কালোবাজারির অভিযোগ প্রমাণ হলেই ব্যবসায়ী ও ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলের পথে হাঁটবে প্রশাসন। সোমবার ইটাহার ব্লক প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বিডিও অফিসে বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। রায়গঞ্জ মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) নব্যেন্দু বসাক বলেন, সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে আমাদের অভিযান জারি রয়েছে। কোনও ব্যবসায়ী বেশি দামে সার বিক্রি করলে এবং সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকী সেই ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
এখন রবিশস্যের মরশুম। চাষাবাদে প্রচুর সার কিনতে হচ্ছে চাষিদের। কিন্তু সার কিনতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যায় তাঁরা। অভিযোগ, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নিচ্ছেন সার ব্যবসায়ীরা।
ইটাহারের কৃষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন সারের বস্তায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কোনওভাবেই সারের কালোবাজারি বন্ধ না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। নিরঞ্জন হালদার নামে পোরষার এক কৃষক জানান, সারের কালোবাজারি বন্ধ না হলে আগামীদিনেচাষাবাদ বন্ধ করে দিতে হবে।
যদিও প্রশাসনের দাবি, উত্তর দিনাজপুর জেলায় পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। তারপরও সারের কালোবাজারির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু কেন? সেই উত্তর খুঁজতে মরিয়া কৃষিদপ্তর। নানা অভিযোগ পেয়ে ইটাহার ব্লকের দুই শতাধিক ডিলার ও খুচরো ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রথম দফায় বৈঠক করেন জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) শঙ্করচন্দ্র দাস, বিডিও দিব্যেন্দু সরকার, ব্লক কৃষি আধিকারিক গৌরব সাহা সহ কৃষি ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষরা। নির্ধারিত মূল্যে ব্যবসায়ীদের সার বিক্রি করার নির্দেশ দেন কৃষিদপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। কৃষি আধিকারিকদের বক্তব্য, এমআরপির থেকে বেশি দামে সার বিক্রি করা যাবে না। সার বিক্রির পর কৃষকদের পাকা বিল দেওয়া এবং ব্যবসায়ীর কাছে কত বস্তা সার মজুত আছে তার নথি সরকারি পোর্টালে নিয়মিত আপলোড করা বাধ্যতামূলক। প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইটাহার ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ধনঞ্জয় পাল। বলেন, প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ সার ডিলার ও খুচরো ব্যবসায়ীরা মেনে চলবেন।