নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: পুরসভার জলাধার ভেঙে ক্লাবের বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইংলিশবাজার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ভবন নির্মাণ করতে ইতিমধ্যেই পরিস্রুত পানীয় জলের জলাধারটি ভাঙা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই ক্লাবের সভাপতি স্বয়ং ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। সোমবার এনিয়ে সরব হয়ে জলাধার ভাঙার কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গায়েত্রী ঘোষ। তিনি আবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের স্ত্রী। ফলে বিতর্ক আরও বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। বিষয়টি এখন শেষপর্যন্ত কোনদিকে গড়ায় তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে জল্পনা শুরু হয়েছে। এনিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কমিউনিটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে একটা সাইডে নিয়ে গিয়ে ট্যাঙ্ক তৈরি করে প্যাসেজ করে দেবে। অনেক জায়গাতেই এরকম হয়।
এদিকে, দীর্ঘদিন এই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন ইংলিশবাজারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। তাঁর আমলে ২০০৮ সালে জল প্রকল্পটি তৈরি হয়েছিল। ইংলিশবাজার সহ মালদহ জেলাজুড়ে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই জেলায় আর্সেনিক দূষণের প্রবণতাও রয়েছে। সবদিক মাথায় রেখে ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের স্বার্থে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পটি তৈরি হয়েছিল।
সোমবার সকালে স্থানীয় ক্লাবের বাণিজ্যিক ভবণ নির্মাণের জন্য পানীয় জলের প্রকল্পটি ভাঙতে শুরু করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা গায়েত্রী ঘোষ। তিনি পাশের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। সেইসঙ্গে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য। তিনি এর প্রতিবাদ করে দাঁড়িয়ে থেকে পানীয় জলের প্রকল্পটি ভাঙার কাজ রুখে দেন। তাঁর অভিযোগ, পুরসভার সঠিক অনুমোদন ছাড়াই সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে। এনিয়ে আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।