• রাজনৈতিক অজুহাতে উন্নয়নের কাজ উপেক্ষা দুঃখজনক: মমতা
    বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও প্রসার। আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত ১৩ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে তাঁর সরকার। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার ফলে আগামী দিনে এই কাজ চালিয়ে যেতে কিছুটা সময় লাগলেও কোনও খামতি রাখবে না তৃণমূল সরকার। সোমবার নবান্ন সভাঘরে ট্রাইবাল অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের বৈঠকে একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


    আর আদিবাসী উন্নয়নের এই কাজে কোনোভাবেই রাজ্যকে দাবিয়ে রাখা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের চার মন্ত্রী এবং একাধিক বিধায়ক। তার পাশাপাশি যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়ক দশরথ তিরকেকেও। তবে পূর্বনির্ধারিত কাজের ‘অজুহাতে’ এদিন বৈঠকে গরহাজির ছিলেন দু’জনেই। সূত্রের খবর, রাজ্যের এই বিশেষ সৌজন্য সত্ত্বেও তাঁদের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মানুষের কাজ করা থেকে বাংলাকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যবে না। তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে এই কাজে সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত। দরজা খোলা রয়েছে সকলের জন্যই। যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান তাঁরা স্বাগত। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে যদি কেউ না আসেন, তবে তা দুঃখজনক। সেক্ষেত্রে রাজ্য নিজের মতোই তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে কোনও রং না দেখে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


    তবে জঙ্গলমহলসহ রাজ্যের সমস্ত আদিবাসী এলাকার বেশকিছু সমস্যা নিয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলেও খবর। প্রথমত, আদিবাসীদের জমি কোনোভাবেই বেহাত হওয়া তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন। মমতার সাফ কথা, আদিবাসীদের জন্য গৃহীত প্রকল্পের সুবিধা অন্য কেউ পেয়ে যাবে, তাও বরদাস্ত করবে না নবান্ন। তাঁর সরকারের এই নীতির রূপায়ণ নিশ্চিত করতে বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, সন্ধ্যারানি টুডু ও বুলুচিক বরাইককে নিয়ে একটি কমিটিও তিনি গঠন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী এলাকাগুলির ভাষা এবং সংস্কৃতি চর্চার বিষয়টিও এই কমিটিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


    সূত্রের খবর, এদিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে হাতির হানার কারণে প্রাণহানি থেকে শুরু করে ফসল নষ্ট নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওড়িশা সীমান্তে বেশকিছু জঙ্গল এলাকা বরাবর গর্ত করে রাখার ফলে হাতির স্বভাবিক যাতায়াতের পথ আটকে যাচ্ছে। তার ফলে বাংলায় বাড়ছে হাতির হানার ঘটনা। বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বাংলার মুখ্যসচিব এনিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)