নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্যবসা নাকি বাংলার রক্তে নেই? বাঙালি নাকি ব্যবসায় ভয় পায়? সত্যিই কি তাই? এই শহরে এমন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাঁরা পুরদস্তুর বাঙালি। তাঁদের পণ্য বা পরিষেবা বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে রাজত্ব করছে ভিন রাজ্যে। এমনকী, বিদেশের মাটিতেও তার কদরের খামতি নেই। নতুন প্রজন্মকে আরও ব্যবসামুখী করতে কয়েকবছর আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগপতি। তাঁদের হাত ধরেই শহরের বুকে শুরু হতে চলেছে পাঁচদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। সেখানে যেমন থাকছে সাধারণ মানুষের ঘুরে দেখার, জানার এবং উৎসাহ পাওয়ার আয়োজন, তেমনই থাকছে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব আলাপ-আলোচনার পরিসর। সল্টলেকের করুণাময়ী সেন্ট্রালপার্ক বা বইমেলা প্রাঙ্গণে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে হতে চলেছে ‘বাংলার নব জাগরণ’। বেঙ্গল রাইজিং ৩.০ শিরনামের ওই মেলা, বিনোদন ও আলোচনার জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজনে বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল।
কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা তথা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দত্ত বলেন, গোটা অনুষ্ঠানটিতে যেমন সাধারণ মানুষ আসবেন, তেমনই ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। চারদিন ধরে যেমন থাকবে রান্নার প্রতিযোগিতা, তেমনই প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে ফসিলস, চন্দ্রবিন্দুর মতো নামজাদা ব্যান্ডের সঙ্গে থাকবেন অন্যান্য শিল্পী। থাকছে ফ্যাশন শো। বিভিন্ন আলোচনয় অংশ নেবেন দিকপাল ব্যক্তিত্বরা। এমনকী যাঁরা একেবারে ঘরোয়া ঘেরাটোপে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে অল্প দিনেই সেই ব্যবসা এক কোটি টাকার উপর নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা শোনাবেন নিজেদের কথা।
স্টার্ট আপের পাশে দাঁড়াতে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ সভা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলার আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এছাড়াও নামজাদা বাঙালি ব্যবসায়ীরা যেমন তাঁদের কথা বলবেন, তেমনই শোনা যাবে ব্যবসায় আধ্যাত্মবাদের কথাও।
বিনিয়োগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মেলায় অংশ নেবেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবির কর্তারাও। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি কীভাবে শেয়ার বাজারে নাম নথিভুক্তি করে মূলধন জোটাতে পারে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করবে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বা বিএসই। থাকবে অভিনব ক্যুইজ ও শব্দের খেলা। গোটা মেলার পরিকল্পনা করেছেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অভিষেক আঢ্যি। তাঁর কথায়, শীতের শহরে আয়োজিত এই মেলা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিশেষ উপহার।