নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: উত্তর বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় জয়শ্রী দাস ও তাঁর স্বামীকে খুঁজছে পুলিস। তাঁরা বেপাত্তা। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন সত্যজিৎবাবুর ছেলে সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নোয়াপাড়া থানার পুলিস। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সত্যজিৎবাবুর লেখা সুইসাইড নোটে সবই তিনি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে গিয়েছেন।
ওই সুইসাইড নোট খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। আড়াই পাতার ওই নোটে ছত্রে ছত্রে জয়শ্রী দাস ও তাঁর স্বামী, একজন আইনজীবী, মুহুরি এবং একটি ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁদের অত্যাচারের জন্যই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন আটবারের কাউন্সিলার। জয়শ্রী দাসের কথায় তিনি এত টাকা দিলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী এমন ভিডিও করা হয়েছিল, যার জন্য তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা গুণাগার দিতে হয়েছিল? কেনই বা ওই ক্লাবের ছেলেদের সঙ্গে তাঁর গোলমাল হয়েছিল? সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যজিৎবাবুর থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে দাস দম্পতি। আগে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চ পদে কাজ করতেন।
এ ব্যাপারে উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ বলেন, পুরসভার কাজকর্ম তিনি খুবই ভালো বুঝতেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব একটা জানি না। স্থানীয় সাংসদ পার্থ ভৌমিক স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে এই ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কিছু কেউ যেন না করেন। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া বলেন, একটা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।