নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: দাদার খুনের বদলা নিতে অশোক সাউকে খুনের ছক কষেছিল সুজল প্রসাদ। ১৩ নভেম্বর নৈহাটিতে অশোককে খুন করা হয়। সোমবার সকালে বর্ধমান স্টেশন থেকে মূলচক্রী সুজল সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই সুজল ফেরার ছিল। বিহারে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিসের চাপে সেখান থেকে ফিরে আসছিল। ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল আকাশ প্রসাদের। অভিযুক্ত হিসেবে অশোকের নাম ওঠে। এফআইআর ও চার্জশিটে তার নাম ছিল। দাদার খুনের বদলা নিতে অশোককে খুনের ছক কষে সুজল। নৈহাটির উপ নির্বাচনের দিন ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় সুজল, সানি, রাহুল, ভদু ও সুমিত ছিল। সুজল, সানি এদিন গ্রেপ্তার হলেও বাকি তিনজন এখনও অধরা। বারাকপুর আদালতে তোলা হলে ধৃত দু’জনকে দশ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। সুজল ও সানি ছাড়া বাকি দু’জন হল কাউসার আলি ও সুজল পাসোয়ান। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি ওয়ান শটার পিস্তল। দু’রাউন্ড গুলি। অশোক সাউকে লক্ষ্য করে সেদিন সাত রাউন্ড গুলি চলেছিল। বোমাও মারা হয়েছিল। সুজলদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে এল তা পুলিস খতিয়ে দেখছে। বিহার থেকে জোগান দেওয়ার বিষয়টিকে তারা উড়িয়ে দিচ্ছে না। এদিন বিকেলে পুলিস কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে, ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সাংসদ পার্থ ভৌমিক।