• শীতে বদলায় নাম, ওয়েলিংটন এখন ‘তাসি ডালেক’, কলকাতাকে তিব্বতিদের ‘নমস্কার’ 
    বর্তমান | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • সোহম কর, কলকাতা: এখন থেকে এ বছরের শেষদিন পর্যন্ত কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়ারের নাম ‘তাসি ডালেক মার্কেট’।  নয় নয় করে পঞ্চাশ বছর হয়ে গেল তিব্বতিরা শীত পড়ার আগে এখানে আসেন। কলকাতার গায়ে গরম জামা গলিয়ে দেন। ছোট ছোট দোকান এঁদের। শীতের জামাকাপড় বিক্রি করেন। এবছরও তাঁরা এসেছেন। গত বছর তিব্বতিরা শীতবস্ত্রের এই অস্থায়ী বাজারের নাম দিয়েছেন ‘তাসি ডালেক মার্কেট’। নামটি যদিও অধিকাংশেরই এখনও অজানা। এ বছর তাই ক্যারি ব্যাগের গায়ে নাম ছাপিয়ে দিয়েছে তারা। অনেকে নাম লেখা টি শার্টও পরে ঘুরছেন। 


    ‘তাসি ডালেক’ শব্দটি দেখে মানে বুঝতে মাথা চুলকানো ছাড়া কিছু করার নেই। কী অর্থ এর? এই বাজারের অস্থায়ী হর্তাকর্তা তেনজিং গেলেক বললেন, ‘এই বাজার বসায় টিবেটিয়ান রিফিউজি সোয়েটার সেলার্স অ্যাসোসিয়েশন। সারা ভারতজুড়েই এই সংগঠন শীতবস্ত্রের বাজার বসায়। প্রতিটি বাজারেরই আলাদা আলাদা নাম। গত বছর ওয়েলিংটন বাজারের নামকরণ করা হয়েছে।’ এরপর তিনি বললেন, ‘তিব্বতি ভাষার তাসি ডালেক শব্দের অর্থ নমস্কার।’ তেনজিং জানালেন, এই বাজারে অনেক ব্যবসায়ী বসেন। তাঁদের জন্য তাসি ডালেক মার্কেট লেখা টি শার্ট করা হয়েছে। অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় এ বছর শীতবস্ত্রের দাম খুব একটা বাড়েনি। এবার ১০০টির মতো দোকান বসেছে। কাশ্মীর, হিমাচল, মানালি, ধরমশালা, সিকিম, ভুটান, দার্জিলিং থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন। এই বাজার অস্থায়ী বলে ক্রেতারা ভুলে যান। তারপর বাসে-গাড়িতে যেতে যেতে মার্কেট বসেছে দেখে তারপর কিনতে আসেন। অনলাইন থেকে অনেকে জিনিস কেনেন বটে তবে এখানকার জিনিস ভালো বলে চাহিদা বেশি। শীত আর একটু পড়লে ব্যবসা আরও বাড়বে।


    তাসি ডালেক মার্কেটে চোখে পড়ার মতো শাল-চাদর-সোয়েটার-জ্যাকেট রয়েছে এবার। এ বছর নতুন এসেছে থ্রিডি ডিজাইনের সোয়েট শার্ট। সে জামায় আলো পড়লে ডিজাইন ফুটে ওঠে। এসেছে রাঞ্জা। নরম কাপড়ে তৈরি মহিলাদের জ্যাকেটগুলি এ বছরের নয়া আমদানি। ব্যবসায়ীরা জানালেন, এবার ক্যারি ব্যাগে লিখে দেওয়া হচ্ছে, প্রতি বছর এক নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বাজার বসে। এবার থেকে কলকাতা আর আমাদের ভুলে যাবে না। আমরা এই শহরে আসার জন্য অপেক্ষা করি গোটা বছর। কলকাতা আসলে খুব প্রিয় শহর আমাদের। 
  • Link to this news (বর্তমান)