সংবাদদাতা, বনগাঁ: ভুল সিল দেওয়ায় বিতর্ক গাইঘাটায়। সমবায় সমিতির রসিদে পঞ্চায়েতের সিল থাকায় গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঋণের টাকা ফের পরিশোধ করতে হবে না তো, প্রশ্ন তাঁদের। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা ভুলবশত হয়েছে। কী করে এই ভুল হল, খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি গাইঘাটা ব্লকের ফুলসরা উত্তর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের।
জানা গিয়েছে, সমবায় সমিতি থেকে চাষের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। নির্দিষ্ট সময়ে সেই ঋণ পরিশোধও করে দেন তাঁরা। অভিযোগ, ঋণ পরিশোধ করার পর সমবায় সমিতি থেকে দেওয়া রসিদে সমবায় সমিতির সিলের পরিবর্তে রয়েছে বাগদার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিল। বেশ কয়েকজন কৃষকের রসিদে পঞ্চায়েতের সিল থাকায় তাঁদের আশঙ্কা, এক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। ফলে নতুন করে তাঁদের উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে।
সমিতির এক গ্রাহক সাধন সরকার বলেন, সমিতির অফিসে গিয়ে ঋণ পরিশোধ করেছিলাম। পরে দেখতে পাই আমাকে যে রসিদ দেওয়া হয়েছে, তাতে বয়রা পঞ্চায়েতের সিল রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে ভুল হয়েছে। কী করে এই ভুল হল, জানি না। আগামী দিনে এই রসিদ অবৈধ বলবে না তো, প্রশ্ন ওই কৃষকদের।
অভিযোগ, রজতকুমার মিত্র নামে সমিতির এক কর্মী ঋণের টাকা আদায় করে কৃষকদের রসিদ দিয়েছেন। সমিতির কাজ করার পাশাপাশি তিনি ফুলসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। এবিষয়ে তিনি বলেন, একটি জায়গায় পঞ্চায়েতের সিল বানাতে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে ভুল করে বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিল দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা একটি ড্রয়ারে রেখে দিই। কর্মীরা হয়তো সেই সিল নিয়ে এসে সমবায় সমিতির রশিদে দিয়েছেন। এ বিষয়ে ফুলসরা উত্তর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার অসিত বালা বলেন, ঋণ পরিশোধের অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনি ভুলবশত বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতে সিল ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি জানার পর আমরা তাকে