• 'মমতার ছবি সরিয়ে...', হুমায়ুনের অভিষেক-মন্তব্যে ফিরহাদ হাকিম
    আজ তক | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রীর করা হোক বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। এমনকি অভিষেককে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চেয়েছেন। সেই হুমায়ূনের নাম না করে জবাব দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে জিতে দেখান'। 

    প্রশাসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ে সওয়াল করে চলেছেন হুমায়ূন কবীর। bangla.aajtak.in-কে তিনি বলেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী হলে পুলিশ আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ হবে। যে সব ভুলত্রুটি আছে সেগুলি মেরামত হবে। পুলিশের আরও উন্নতি হবে'। হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে মঙ্গলবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ফিরহাদ। বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিচ্ছেনও। এক-আধটা ঘটনা আগেও ছিল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, জ্যোতি বসুরা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও ঘটত। কিন্তু ভারতের মধ্যে নিরাপদ শহর কলকাতা। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ই হয়েছে। কাউকে এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না'।

    হুমায়ুনের নাম না করে ফিরহাদের বক্তব্য,'আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে জিতি। যারা বড় বড় কথা বলছে, তাঁদের বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে জিতে দেখান'।

    প্রশাসনে অভিষেকের 'অভিষেক' কবে? ফিরহাদ জানান,'আমি অভিষেকের ব্যাপারে বলব না। অভিষেক সন্তানের মতো। ঠিক সময়ে যা হওয়ার হবে'।

    হুমায়ুনের মন্তব্য নিয়ে বিধাসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,'এটা ওঁর ব্যক্তিগত অভিমত। এ ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। এসব কথা বলার কোনও অর্থ আছে বলে মনে করি না'।

    হুমায়ুন ঠিক কী বলেছেন?

    ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের মতে, 'আগামী দিনেও রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে। নেত্রীর মতো যোগ্য ও দায়িত্বশীল মানুষ ভারতবর্ষের রাজনীতিতে নেই। তারপরও বলছি অভিষেককে উপমুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখতে হয়। একাধিক দফতর তাঁর হাতে রয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাজকর্মও দেখাশোনা করেন। অভিষেকের হাতে পুলিশের দায়িত্ব তুলে দিলে নেত্রীরই লাভ হবে বলে আমার মনে হয়। অভিষেককে মন্ত্রিসভায় নেওয়া উচিত। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। অভিষেকের হাতে ক্ষমতা দিলে নেত্রীর দায়িত্ব লাঘব হবে।'

    যোগ করেন, 'সারাজীবন সবাই ক্ষমতায় থাকে না। বিধানচন্দ্র রায়ও ক্ষমতাশালী ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেও অনেক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁরাও সারাজীবন থাকেননি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করিনি। তবে তাঁর কাজের কিছুটা লাঘব হওয়া দরকার। এটা আমার মনে হয়।'
  • Link to this news (আজ তক)