মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার নির্দেশে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী। মন্দারমণির হোটেল ভাঙার কথা জানতে পেরে স্তম্ভিত নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের কাছে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। মুখ্যসচিব বা কারও কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। বুলডোজারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সঠিক নয়। মন্দারমণির হোটেল ভাঙার ঘটনায় মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক চান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মন্দারমনি পর্যটনকেন্দ্রে ১৪০টি বেআইনি হোটেলকে ভেঙে ফেলার নোটিস দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন মন্দারমনির এই ১৪০টি হোটেলকে অবৈধ নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে বেআইনি কনস্ট্রাকশনগুলি সরিয়ে ফেলার বা ভেঙে নেওয়ার জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আরও প্রায় ৩০ টি হোটেলকে চিহ্নিত করে নোটিস জারি করার জন্য হিয়ারিংয়ে ডাকা হয়েছে। এই ঘটনাতেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হোটেল মালিকরা। এত মানুষের রুজি রোজগার কোথায় যাবে? রুজি রোজগারের কী হবে? কোটি কোটি টাকার হোটেল! সেগুলোর-ই বা কী হবে? চিন্তায় হোটেল ব্যবসায়ীরা। এই নিয়েই হাইকোর্টর দ্বারস্থ হয়েছেন মন্দারমনি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, শুধু মন্দারমনি নয় দিঘা, পুরী,গোয়ার মতো প্রভৃতি জায়গাতেও সি-বিচের কাছেই সব হোটেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তাহলে মন্দারমনির জন্য আলাদা নিয়ম কেন? এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন?