ঘটনাটি ঠিক কী? কসবাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বর্ধমান গলসিতে ধরা পড়েছে মূলচক্রী ইকবাল ওরফে গুলজার। আসল নাম আফরোজ খান। লালবাজার সূত্রে খবর, একসময়ে দুবাইয়ে কাজ করতেন গুলজার। দুবাই থেকে ফিরে কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডেরই মার্টিনপাড়া গুলশন কলোনিতে চারতলা একটি বাড়ি তৈরি করে করেন তিনি। কবে? ২০১১-১২ সালে।
ওই বাড়িকে নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, গুলশন কলোনির ওই বাড়িটি দখল করে নেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামী হায়দর আলি। তারই বদলা নিতে নাকি কাউন্সিলরকে খুনের পরিকল্পনা! লালবাজার সূত্রে খবর, ওই বাড়ির কিছুটা কৃষিজমি, বাকিটা সরকারি জমি। সেক্ষেত্রে এই গোটা ঘটনায় গুলজারের পিছনেও অন্য কেউ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ৪ দিন কসবাকাণ্ডে ব্যবহৃত স্কুটির হদিশ মিলল। কোথায়? বন্ডেল গেটের কাছে একটি গলিতে। গত শুক্রবার কসবা নিজের বাড়িতে সামনেই আক্রান্ত হন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ভরসন্ধেয় স্কুটিতে চেপে এসে তাঁকে লক্ষ্য গুলি করার চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার পর একজন হাতনাতে ধরা পড়লেও, আর এক স্কুটি চেপে পালিয়ে যায়। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও সেই স্কুটিটির সন্ধান মিলছিল না। তদন্তে জানা যায়, স্কুটিটির নম্বর প্লেট বদলে ফেলা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বন্ডেল গেটের কাছে গলিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল স্কুটিটি। থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস গিয়ে দেখে, যে কসবকাণ্ডে যে স্কুটিটি ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতীরা, সেই স্কুটিটিই পড়ে রয়েছে ওখানে।