অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: অপরিণত সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গেল পথকুকুর। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া গেল না শিশুটিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার। আতঙ্কে কাটা অন্য রোগীরাও। কর্তৃপক্ষের সাফাই, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্ৰামীণ হাসপাতালে।
পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়া রায়। তিনি সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামের বাসিন্দা। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে ইউরিন টেস্টের কথা বলেন। ননদ কল্পনা রায়ের সঙ্গে হাসপাতালের শৌচালয়ে যান তিনি। সেখানেই অপরিণত শিশুর জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকেন। অভিযোগ, নার্সরা আসতে দেরি করেন। পরে প্রসূতিকে শয্যাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরই প্রসূতির ননদ বাথরুমে এসে দেখেন শিশুটি সেখানে নেই। তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা জানান, একটি কুকুর ওই সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গিয়েছে।
আত্মীয়রা কুকুরটির পিছনে ধাওয়া করলে সে বাচ্চাটিকে নিয়ে পাশের ঝোপে চলে যায়। বিস্তর খোঁজাখুজির পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ এসে ঝোপটিতে তল্লাশি চালালেও হদিশ মেলেনি বলেই খবর। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা বাধে। পরিবারের। পরে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।