• স্নাতকোত্তরে খাতা না দেখেই নম্বর! ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
    প্রতিদিন | ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • রমেন দাস: এবার পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েও বিতর্ক যাদবপুরে। সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষার খাতায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দাবি, কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতা না দেখেই নাকি নম্বর দিয়েছেন এক অধ্যাপক। যা ধরা পড়েছে ওই খাতাগুলি পুনর্মূল্যায়নের সময়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন এবং সাংবাদিকতা বিভাগের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুনর্মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ফের ফলপ্রকাশ, সব দিক ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের কাছে একাধিক ডেপুটেশনও জমা পড়েছে ।

    ঠিক কী ঘটেছে?
    অভিযোগ, সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমেস্টারের কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতাই দেখা হয়নি। মিডিয়া এথিক্স এবং ল’ পেপারের একাধিক খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর যে কারণে, একের পর এক পড়ুয়া ওই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি। যদিও ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের হলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। এর পরই তোলপাড় শুরু হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়াময় সাত্যকি ভট্টাচার্যের দাবি, “ছাত্ররা রিভিউয়ের আবেদন করার পর আমার নজরে আসে। বহু খাতায় কিছু ত্রুটি চোখে পড়ে। এরপর আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে বিষয়টি জানাই। বিভাগীয় প্রধানের নজরে আনি।” এই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি। গুরুতর অভিযোগ। উপাচার্য নিজে দেখছেন। উপযুক্ত পদক্ষেপ অবশ্যই হবে। গাফিলতি তো ছিলই, না হলে এভাবে অভিযোগ উঠবে কেন! খুবই খারাপ বিষয়।”

    বর্তমানে ওই বিভাগের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র প্রসেনজিৎ ঘোষ। তাঁদের সঙ্গেই এমন ঘটেছে বলে দাবি। তিনি বলেন, “আমরাও বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে জানতে পারি। অভিযোগ করেছি। এভাবে অনেকেই ভুক্তভোগী। বহু বন্ধু সাপ্লি পেয়েছে। রিভিউয়ের আবেদন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।”

    সূত্রের দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এক অধ্যাপকের নাম। যদিও তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন’। তিনি জানান, “আমি জানি না, আমার নাম কেন উঠছে। যদি কিছু ঘটে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাকে কর্তৃপক্ষ কিছু জানতে চাইলে লিখিত জানাব। কোনওভাবেই সংবাদমাধ্যমে বলব না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হলে, তাঁরাও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)