অস্তিত্ব নেই ইকবালের! কসবা কাণ্ডে ধৃত গুলজারকে জেরা করে এমনই তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
ইকবাল না গুলজার! কসবা কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পর থেকে ক্রমেই নাম নিয়ে দ্বন্দ্ব দানা বেঁধেছিল তদন্তকারীদের মনে। এবার তাতেই পড়ল সিলমোহর। কল্পনাতে ইকবাল থাকলেও আদতে ইকবাল নামে কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। লালবাজার আরও জানাচ্ছে, কুখ্যাত পাপ্পু চৌধুরী এবং গুলজারের মধ্যে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছিল বিহারের বেহুর জেল থেকে মুক্তি পাওয়া এক আসামী। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, সেই প্রাক্তন জেল বন্দী দুর্গাপুজোর সময় এসেছিল কলকাতায়। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই সময় থেকেই চলছে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত। অন্যদিকে ধৃত গুলজার এবং বিহুর জেলের আসামী, ওই মিডলম্যান বিহারের একই এলাকার বাসিন্দা বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই মিডলম্যানের সাহায্যেই এ রাজ্যে কাউন্সিলরকে খুন করার জন্য এসেছিল কিশোর যুবরাজসহ তিনজন। তার হাত ধরেই এসেছিল আগ্নেয়াস্ত্র।
অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার বন্ডেলগেটের কাছে ধর্মতলা রোডের এক সরু গলি থেকে উদ্ধার হয় হামলার সময় ব্যবহার করা স্কুটার। এলাকায় পরিত্যক্ত স্কুটার দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেন থানায়। তারপর পুলিশ গিয়ে স্কুটারটিকে বাজেয়াপ্ত করে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই এলাকায় স্কুটি রেখে পায়ে হেঁটে বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে গিয়েছে এক যুবক। যদিও এখনও পর্যন্ত তার নাম পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে, তদন্তে ধৃত গুলজার অসহযোগিতা করছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
তবে খুনের চক্রান্তের পিছনে জমি সংক্রান্ত বিবাদকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না লালবাজারের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, গ্রেফতারের পর আফরোজ ওরফে গুলজার পুলিশের কাছে দাবি করে, সুশান্ত ঘোষের অনুগামী হায়দার সম্প্রতি তার জমি দখল করে সেখানে ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ ঘটনা আফরোজ মেনে নিতে পারেনি। তবে কাউন্সিলরের প্রভাবের কারণে সরাসরি কিছু করতে না পেরে মুঙ্গের থেকে সুপারি কিলার ভাড়া করে সুশান্ত ঘোষকে খুনের পরিকল্পনা করে।
অন্যদিকে, সাংবাদিক বৈঠকে আফরোজের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ জানান, রুবির পাশে গুলশন কলোনি এলাকায় দেড়শ বিঘার একটি ভেড়ি রয়েছে। ২০২১ সালে অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল এই বলে যে, ২০২২ সালের ভোটের পর সেখানে কাজ করতে দেওয়া হবে।ppappi