• ‘ত্যাগস্বীকারে রাজি’, বাংলা জুড়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশে সচেষ্ট মন্ত্রী অরূপ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • শিল্পক্ষেত্রে নয়া দিশার সন্ধান দিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়। গোটা বাংলা জুড়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অগ্রগতিতে শিল্পপতি থেকে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আবেদন মন্ত্রীর। মঙ্গলে সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘দৈনন্দিন জীবনে মানুষের খাদ্যাভাস বদলাচ্ছে, ভেগান-মিটের চাহিদা বাড়ছে। বাংলায় বর্তমানে এর চাহিদা না থাকলেও ভবিষ্যতে এর চাহিদা সৃষ্টি হবেই তাই এই শিল্পের দিকে জোর দিতে হবে।’ পাশাপাশি লোকাট ফল চাষের দিকেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ইতিমধ্যেই আমরা লোকাট ফল চাষের উদ্দেশ্যে জমির বন্দোবস্ত করছি।’ তবে, ফুড প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলার প্রধান একক হলো জমি। বর্তমানে সরকারি জমি বেদখলের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এবার প্রশ্ন হলো, এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আদেও কি ফুড প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত জমির বন্দোবস্ত করতে পারবে রাজ্য সরকার? এর জবাবে আশার আলো দেখিয়ে অরূপ জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে জমি রয়েছে, তাছাড়াও বহু শিল্পপতিদের অধীনেও জমি থাকে। যেসকল কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই জমি নতুন করে শিল্পের কাজে লাগানোর ভাবনা চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসলে জমি-জট সৃষ্টি হবে না। ছোটো থেকেই শুরু করা যাক, কতটা সফল হবে তা পরবর্তীতে বিচার্য বিষয়।’ সেই সঙ্গে মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জমি বেদখলের অভিযোগ উঠলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না।

    সরকারি জমি জবরদখল প্রসঙ্গে অরূপ রায়ের কড়া বার্তা, ‘৩৪ বছরের বাম শাসনে সরকারি জমি জবরদখল ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। বর্তমানে জমি সংক্রান্ত যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী খোদ। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের রেয়াত করা হবে না, কোনো দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধেও যদি অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না। সরকারি জমি বেদখলের পরও চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়।’ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিস্তারে অঙ্কিত রূপরেখা কীরূপ? এ প্রসঙ্গে খোলসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ পর্যটন শিল্পে এগিয়ে, এর পাশাপাশি সেখানের মানুষ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে আগ্রহী হলে বাংলার কৃষকরাও উপকৃত হবেন এবং আমরাও তাঁদের ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া থেকে সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। আমাদের আবেদন, শিল্পপতিরা এগিয়ে এসে বিনিয়োগ করুন।’ অরূপের আরও সংযোজন, ‘শিল্পের বিস্তার নিয়ে দুটি বৈঠক হয়েছে ইতিমধ্যেই। আগামীতে উত্তরবঙ্গে একটি বৈঠক হবে। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা ত্যাগস্বীকারে রাজি, সংশ্লিষ্ট দফতর তথা রাজ্য সরকার সর্বোতভাবে এই শিল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। জিটিএ-এর প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)