স্থানীয় সূত্রে খবর, সমুদ্রগড় এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের স্ত্রী বেশ কিছু দিন আগে ঝগড়া করে রানাঘাটের সড়ক পাড়া এলাকায় বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। স্বামী একাধিক বার তাঁকে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্ত্রী আর বাড়ি ফিরতে রাজি হননি।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনও জামাইকে জানিয়ে দেন মেয়েকে তাঁরা তাঁদের কাছে রাখবেন। তার পরেও সোমবার সকালে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রানাঘাটে যান যুবক। যদিও স্ত্রী আর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। এমনকি, জামাইকে অপমান করে বাড়ি থেকে বার করে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। জানা যাচ্ছে, তার পরে কাছের একটি দোকান থেকে কীটনাশক কিনে শ্বশুরবাড়ির অনতিদূরে দাঁড়িয়ে খেয়ে ফেলেন যুবক। স্থানীয়েরা সেটা দেখতে পেয়ে রানাঘাট থানায় খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় যুবক জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে রাজি হননি স্ত্রী। তাই ঘর ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী এক জায়গায় থাকতেন। কিন্তু স্ত্রী কিছু দিন পর বাপের বাড়ি চলে যান। তিনি স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন। শ্বশুরবাড়িতে অপমানিত হয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।