একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকার উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু মঙ্গলবার দাবি করেছেন, ওই সমস্ত এলাকায় মানুষ বিপন্ন। আইনশৃঙ্খলার অবনতির ফলে একাংশের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশও ‘রাজনৈতিক কারণে’ হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির পুরনো দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের ‘উপদ্রুত’ এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এমনকি, যে যে এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তিনি। একটি এলাকার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু দাবি করেছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসেন। পন্থকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির পাঁচ জন বিধায়ক দেখা করতে চান মুখ্যসচিবের সঙ্গে। সোমবার চিঠি দিলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নবান্ন থেকে কোনও জবাব আসেনি বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর দাবির পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘বাংলায় শান্তি বজায় রয়েছে। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। শুভেন্দুর উচিত মণিপুর নিয়ে একটু বীরেন সিংহ (মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী) এবং অমিত শাহকে পরামর্শ দেওয়া।’’
রাজ্য সরকার আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে। সেই কাজে বেশ কিছু জায়গায় অনিয়মেরও অভিযোগ উঠছে। শুভেন্দুর দাবি, স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করা হোক। তাঁর কথায়, ‘‘সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে কেন্দ্র আবাস-২ এর টাকা দেবে, সেই মহড়া শুরু হয়েছে।’’ তবে শুভেন্দু সাধারণ মানুষের উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, গ্রামসভায় ১১ ডিসেম্বর যে বৈঠক হবে, সেখানে যেন মানুষ তালিকা মিলিয়ে নেন। অযোগ্য কেউ তালিকায় থাকলে প্রতিবাদ জানানো এবং ন্যায্য প্রাপকদের কেউ বাদ পড়লে জোরালো দাবি জানানোর কথা বলেছেন শুভেন্দু। পাল্টা তৃণমূলের কুণাল বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা দেয়নি। রাজ্য মানুষের মাথায় ছাদ দিচ্ছে। বাংলার মানুষ জানেন, শুভেন্দুর দিল্লির নেতারা বাংলার অধিকার কেড়েছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই হকের জিনিস রাজ্যের কোষাগার থেকে দিচ্ছেন।’’