• সাড়ে চার কোটি টাকার সোনার বিস্কুট সহ ধৃত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
    বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: উত্তর ২৪ পরগনায় বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার। পাচারে যুক্ত এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার পরিমাণ ৫ কেজির বেশি! সাম্প্রতিক কালে একসঙ্গে এত পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়নি। বিএসএফ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনা সহ ধৃত ইঞ্জিনিয়ারকে কলকাতায় ডিআরআই অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোট ৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে, যার ওজন ৫ কেজি ৯ গ্রাম। বর্তমান বাজার দর ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।


    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানা এলাকায় রয়েছে বিএসএফের তেঁতুলবেড়িয়া বর্ডার আউটপোস্ট। সোমবার সন্ধ্যায় বিএসএফের গোয়েন্দা সূত্রে খবর এসেছিল, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হয়ে ভারতে ঢুকেছে। স্থানীয় আঁচলপাদা গ্রামে ওই সোনা রয়েছে বলে জানতে পারে বিএসএফ। তারপরই বিএসএফের বাহিনী ওই গ্রামে অভিযান চালায়। গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, একেবারে পাচারকারীর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন ‌জওয়ানরা। তাঁদের দেখেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সহ আরও কয়েকজন পালাবার চেষ্টা করে। তখন বিএসএফ জওয়ানরা শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালান। তখন ওই ইঞ্জিনিয়ার ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


    বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃত বিপুল পরিমাণ সোনা সঙ্গে করে নিয়ে পালাচ্ছিল। ধৃত পাচারকারী জেরায় জানিয়েছে, সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু, খুব দ্রুত বেশি রোজগারের জন্য সে পাচারের কাজে যোগ দিয়েছিল। সোমবারই বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা ওই সোনার বিস্কুট সে পেয়েছিল। চোরাকারবারীরা ওই বিস্কুট তার বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। ওই ইঞ্জিনিয়ার মূলত সোনা লুকিয়ে রাখার কাজই করত। এর জন্য প্রতিবার সে ৫০০-১০০০ টাকা করে কমিশন পেত। বাড়িতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা রাখতে হতো। তারপর সুযোগ বুঝে অন্য পাচারকারী তার বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যেত সোনা। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জন সংযোগ আধিকারিক তথা ডিআইজি নীলোৎপল কুমার পান্ডে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা সোনা পাচারের সঠিক খবর দিলে তাঁদের পরিচয় গোপন রেখে আমরা পুরস্কৃত করব।’
  • Link to this news (বর্তমান)