• জেলার সংখ্যালঘু এলাকায় স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ ২২ কোটি টাকা
    বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: জেলা সংখ্যালঘু দপ্তরের উদ্যোগে জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলিতে তৈরি হচ্ছে শৌচালয়, অতিরিক্ত ক্লাস রুম, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার ও মিড ডে মিল ডাইনিং শেড। এছাড়া বেশকিছু কমিউনিটি হলও নির্মাণ করা হচ্ছে। এর জন্য চলতি আর্থিক বছরে ২২ কোটি টাকার বেশি ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করা হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। 


    জেলা সংখ্যালঘু দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে সংখ্যালঘু দপ্তরের উদ্যোগে জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত ক্লাস রুম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এইসব সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই পঠনপাঠনের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ক্লাস রুম প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রায় ১২৮টি নতুন ক্লাস রুম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলে প্রায় ১৩৩টি শৌচালয় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য একটি করে ডাইনিং শেড তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আটটি স্কুলে নতুন ডাইনিং শেডও নির্মাণ করা হচ্ছে। 


    জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলার গ্রামাঞ্চলে এখনও কারও বাড়ির উঠোনে বা ক্লাব ঘরে অথবা থানার প্রাঙ্গণে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার চলছে। যেখানে পড়াশোনা চলে খোলা আকাশের নীচে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের। এইসব সেন্টারগুলিতে মিড ডে মিলের আয়োজনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। তাই সংখ্যালঘু দপ্তরের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে ৪২টি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি দপ্তরের উদ্যোগেও পৃথক ভাবে একাধিক জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। 


    অন্যদিকে একাধিক গ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা ইত্যাদির জন্য একটি করে কমিউনিটি হল নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ২১টি কমিউনিটি হল সংখ্যালঘু দপ্তরের উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে। 


    সংখ্যালঘু দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ধাপে ধাপে চলতি আর্থিক বছরে স্কুলের ক্লাস রুম, শৌচাগার, ডাইনিং শেড সহ একাধিক কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় এইসব কাজ শুরু হয়েছে। কিছু জায়গায় কাজ শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)