• রোগীর চাপ সত্ত্বেও হাতেগোনা চিকিৎসক স্ত্রীরোগ বিভাগে
    বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: দিন দিন রোগীর চাপ বাড়লেও স্ত্রীরোগ ও মনোরোগ বিভাগে হাতেগোনা চিকিৎসক রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর এনিয়ে কোনওমতে চলছে মেডিক্যালের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির চিকিৎসা পরিষেবা। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মনোরোগ ও স্ত্রীরোগ বিভাগে চিকিৎসকের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। তাই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসক নেই। 


    আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই চিকিৎসকদের বিভিন্ন হাসপাতালে পোস্টিং করানোর প্রক্রিয়া কার্যত স্তব্ধ হয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই সীমিত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়েই কাজ চলছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, সাধারণ স্ত্রীরোগ, প্রসূতি থাকাকালীন অবস্থার চিকিৎসা, প্রসূতিদের প্রসব ও অস্ত্রোপচার, প্রসূতি বিভাগের  সমস্ত ইউনিটের চিকিৎসা পরিষেবার দায়িত্ব বর্তায় স্ত্রীরোগ বিভাগের উপর। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সব মিলিয়ে স্ত্রীরোগ বিভাগে মাসে অন্তত হাজার রোগীকে পরিষেবা দিতে হয়। প্রতি দিন গড়ে ১০ জন অন্তঃসত্ত্বার সিজার হয়। বছরে কমপক্ষে ১২ হাজারেরও বেশি জনকে এই বিভাগে পরিষেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও শুধু এই জেলা নয়, আশপাশের জেলা ও ভিনরাজ্য বিশেষত বিহারের বারসই থেকেও রোগী আসে এই বিভাগে। 


    তারপরও স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র সাত জন। মাত্রাতিরিক্ত চাপ নিয়েই তাঁরা দিনারাত্রি বিভাগটিকে সচল রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা। গত অক্টোবরেও বিষয়টি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানানো হয়েছে। যাতে স্ত্রীরোগ বিভাগে চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানো যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সমস্যা মেটেনি। একই অবস্থার সম্মুখীন মেডিক্যালের মনোরোগ বিভাগও। একজন মাত্র চিকিৎসক। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই বিভাগের পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়। যদিও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও আমাদের চেষ্টা থাকে রোগী পরিষেবায় যাতে কোনও খামতি না হয়। আমরা স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসক সংখ্যা সাত জনের বেশি করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। মনোরোগ বিভাগেও মাত্র একজন চিকিৎসক রয়েছেন। দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই চিকিৎসক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)