সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: এবারে ট্যাব কেলেঙ্কারির ছায়া মাথাভাঙাতেও। মাথাভাঙা-১ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর সাবিত্রী বিদ্যামন্দিরের এক ছাত্রীর টাকা মালদহের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। স্কুলের তরফে এ নিয়ে মাথাভাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রী ট্যাবের টাকা না পাওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি তাদের জানায়। এরপর স্কুলের তরফে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে খোঁজ নেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মালদহের একটি অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানিতে হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজ্যজুড়েই ট্যাব কেলেঙ্কারি এখন চর্চার বিষয়। ট্যাব কাণ্ডের ছায়া মাথাভাঙাতেও মেলায় আলোড়ন পড়েছে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে একাধিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়া নিয়ে আলোড়ন পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিভিন্ন থানার পুলিস বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। এই কেলেঙ্কারিতে ভিনরাজ্যের যোগও পেয়েছে পুলিস। পুলিস সূত্রেই খবর, কোচবিহার জেলার দিনহাটার এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকও এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাথাভাঙা মহকুমায় এই প্রথম ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। জেলা পুলিস জানিয়েছে, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মোহনপুর সাবিত্রী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক কার্তিকচন্দ্র বর্মন বলেন, আমাদের স্কুলে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো ছাত্রছাত্রী। সকলেই ট্যাবের টাকা পেয়েছে। সাম্প্রতি একজন ছাত্রী টাকা না পাওয়ার বিষয়টি জানায়। আমরা স্কুলের তরফে ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় যোগাযোগ করি। সেখান থেকে বলা হয় মালদহের একটি অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। আমরা এনিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করছি, ওই ছাত্রী দ্রুত টাকা ফেরত পাবে।
মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার ব্যাপারে একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করাহয়েছে।