কানাকড়ি অর্থসাহায্য মেলেনি, কেন্দ্রীয় টিমকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তার
বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘গত এক বছরে কানাকড়ি অর্থসাহায্যও পায়নি রাজ্য। অর্থসঙ্কটের মধ্যেও পুরো প্রকল্পটাই রাজ্য চালিয়ে নিয়ে গিয়েছে নিজের খরচে। তাই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের নাম বরং দেওয়া হোক রাজ্য স্বাস্থ্য মিশন!’ মঙ্গলবার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে সেন্ট্রাল রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিদল। এদিন রাজারহাটের একটি হোটেলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের মিশন ডিরেক্টর তথা অন্যতম স্বাস্থ্যসচিব শুভাঞ্জন দাস। এমন বক্তব্য শুনে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের আশা, কাজকর্ম খতিয়ে দেখে হয়তো এতদিন পর বাংলার বকেয়া মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ফি-বছর জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন খাতে কমবেশি ১২০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য পেয়ে থাকে রাজ্য। গত বছর রাজ্য সেই সাহায্য পায়নি। পুরো খরচই চালিয়েছে রাজ্য সরকার। এই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ইতিপূর্বেই সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, আজ বুধবার প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে ওই টিমের সদস্যদের হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার কথা। আজই বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখবেন আরও একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত ন্যাশনাল ডিজিটাল মিশন’-এর প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও রাজ্যে আসছেন কাজকর্ম দেখতে। রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পে তাদের বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার কথা। এই তিনটি টিমের পরিদর্শন শেষে বকেয়া এবং নয়া প্রকল্পের জন্য অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যভবন।