কল্যাণীতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য চিহ্নিত জমিতে পাঁচিল তৈরিতে বাধা বিধায়কের
বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কল্যাণী: কল্যাণী শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য চিহ্নিত জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। অভিযোগ, স্থানীয়দের একাংশকে নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় সেখানে পৌঁছে কাজে বাঁধা দেন। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এতে সাময়িকভাবে পাঁচিল তৈরির জন্য ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ঘণ্টা তিনেক পর ফের কাজ চালু হয়। বিধায়কের দাবি, আদালতের নির্দেশ মানছে না পুরসভা। এই জমিতে আদালতের স্থগিতাদেশ আছে। এছাড়াও ওই এলাকার মানুষ সেখানে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করছেন। ডাম্পিং গ্রাউন্ড হলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। পরিবেশ নষ্ট হবে। অন্যদিকে পুরসভার দাবি, যেই অংশে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেই অংশ ছেড়ে বাকি অংশে কাজ চলছে।
জানা গিয়েছে, কল্যাণী শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিপাড়াতে ১০.২৪ একর জমি এই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। ২০১৮ সালে রাজ্যের নগর উন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর থেকে এই জমি পুরসভা পায়। সেখানে প্রায় ২ একর জমিতে অন্তত ৬০ জন বেআইনি দখলদার রয়েছেন। বাকি অংশে চাষাবাদ করেন অনেকে। পরে বসতি এলাকা ছেড়ে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
২০০৯ সালে কল্যাণী ভারতের ‘নির্মল শহর’-এর স্বীকৃতি পায়। পুরস্কার দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিল শহর কল্যাণী। পরবর্তীকালে রাজ্যের ন’টি শহরের সঙ্গে এই শহরের গায়েও ‘স্মার্ট সিটি’-র তকমা লাগে। কিন্তু ১৯৯৫ সালের ১৭ অক্টোবর কল্যাণী পুরসভা গঠন হওয়ার পর থেকে এতদিন কেটে গেলেও শহরের নিত্যদিনের জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজে পায়নি বিগত পুরবোর্ডগুলি। এদিকে, প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে কল্যাণী শহরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দৈনিক জঞ্জালের পরিমাণ বেড়েছে শহরে। পরে অস্থায়ীভাবে বুদ্ধ পার্কের কাছে শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণী ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নগর উন্নয়ন দপ্তরের সমৃদ্ধি আবাসন তৈরির ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলার কাজ শুরু হয়। সেখান থেকেও পরিবেশ দূষণের ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে। তাই পুর কর্তৃপক্ষ চাইছে, দ্রুত শুরু হোক চিহ্নিত জমিতে আবর্জনা ফেলার কাজ।