নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : দুই যুবক। তাঁদের পরিচয় নেই। কিন্তু পছন্দ একই। ছবি আঁকা। সেই শিল্পের হাত ধরেই রেকর্ড বুকে নাম তুললেন দু’জনেই। একজনের বাড়ি বনগাঁ, অন্যজন কাকদ্বীপের বাসিন্দা।
ফেলে দেওয়া ট্রেনের টিকিটকে ক্যানভাস বানিয়ে দস্তুরমতো ছবি এঁকে ফেলেছেন শান্তনু দত্ত। বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়ার বাসিন্দা। ৯২টি ট্রেনের টিকিটের উপর সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের ছবি এঁকেছেন। সে ছবি নিখুঁত। একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন প্রিন্ট করা। এই ছবি আঁকার সুবাদে তাঁর নামও উঠে গিয়েছে ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে’। ছোটবেলা থেকেই আঁকার দিকে ঝোঁক শান্তনুবাবুর। আঁকা শিখতে বনগাঁ থেকে প্রতিদিন যেতেন কলকাতা। যাতায়াতের পথেই টিকিটে ছবি আঁকার অভিনব ভাবনাটি জন্ম নেয় বলে জানালেন শিল্পী। তাঁর ছয় থেকে সাত বছরের ভাবনার স্বীকৃতিও পেলেন অবশেষে। বললেন, ‘আমার জমানো ৯২টি বাতিল টিকিট জড়ো করে লতার ছবি এঁকেছি।’ শান্তনুবাবু এবার ১৮টি টিকিটের উপর একই পদ্ধতিতে আঁকছেন। তাঁর যাবতীয় সৃষ্টি নজর কাড়ছে শিল্প অনুরাগীদের।
ছবি এঁকে নজর কেড়েছেন কাকদ্বীপের সোহমও। কাকদ্বীপের পূর্ব বাজারের বাসিন্দা সোহম বেরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক। বর্তমান সোহম স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকতে ভালবাসেন। টিভিতে কার্টুন দেখতেও তিনি খুব পছন্দ করেন। কার্টুনের চরিত্র রং তুলির মাধ্যমে খাতায় ফুটিয়ে তোলেন। সেই কার্টুনের এঁকেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে জায়গা করে নিলেন সোহম। সোহম গত এক মাস আগে দুই ফুট বাই আড়াই ফুটের একটি আর্ট পেপারে ৫৫টি কার্টুনের চরিত্র এঁকে ছিলেন। সেই ছবিগুলি তিনি ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে মনোনীত হওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর বাড়িতে এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের সার্টিফিকেট সহ একটি পদক। সোহম জানায়, বড় হয়ে সে শিল্পী হতে চায়।