সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়া ফেরিঘাটে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই ঘাট দিয়ে গঙ্গার ওপারে অছিপুরে প্রতিদিন যাতায়াত করেন বহু মানুষ। উলুবেড়িয়ার ফেরিঘাটে গ্যাংওয়ের কাঠের পাটাতন বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। একটু অসতর্ক হলেই ওই ফাঁক গলে যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারেন যাত্রীরা। সেই সব ফাঁকফোকর সবটা না হলেও কয়েকটি জায়গায় কাঠ মেরে কাজ চালানো হচ্ছে। ঘাটের ইজারাদার সূত্রে খবর, বেহাল গ্যাংওয়ের কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে।
কয়েক বছর আগে উলুবেড়িয়া থেকে অছিপুর পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। উলুবেড়িয়ার জেটিঘাটের পাশাপাশি অছিপুরেও পরিবহণ দপ্তর ভাসমান জেটি ও গ্যাংওয়ে তৈরি করে দেয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই গ্যাংওয়ের কাঠ রোদ-জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। উলুবেড়িয়ার দিকে গ্যাংওয়ের অবস্থা বেহাল। কয়েক মিটার লম্বা এই গ্যাংওয়ের বিভিন্ন জায়গার কাঠের পাটাতন ভেঙে গিয়েছে। কাঠ সরে অনেক জায়গায় বড় বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। তবে বিপদ এড়াতে ঘাটের ইজারাদার ভাঙা জায়গাগুলিতে কাঠ মেরে জোড়াতলি দিয়েছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহণ দপ্তর জেটি ও গ্যাংওয়ে নির্মাণ করলেও তারা রক্ষণাবেক্ষণ না করায় গ্যাংওয়ের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। তবে শুধু উলুবেড়িয়া নয়, অছিপুরের দিকেও গ্যাংওয়ের অবস্থা একই। তাঁদের মতে, উলুবেড়িয়ায় এখন রাস উৎসব চলছে। প্রতি বছর এই সময় হাজার হাজার মানুষ নদীপথে যাতায়াত করেন। ফলে অবিলম্বে গ্যাংওয়ে না সারালে যে কোনদিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গ্যাংওয়ের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটের ইজারাদার জাহির আব্বাস। তাঁর দাবি, এটি মেরামতের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে। তবে যতদিন পর্যন্ত গ্যাংওয়ে মেরামত না হয়, ততদিন কাঠ লাগিয়ে কোনওমতে এটিকে চলনসই রাখার চেষ্টা করেছি। রাস উৎসবের সময় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জাহির আব্বাস। গ্যাংওয়ের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি। তিনি বলেন, বেহাল গ্যাংওয়ে মেরামতের জন্য পরিবহণ দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র