নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া ও সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া : ঝাঁ চকচকে শৌচালয়। ভিতরে কোমড, শাওয়ার, হাত ধোওয়ার বেসিন সবই চকচকে। তবে কোনও শৌখিন বাড়ির অন্দরমহল নয়। এটি উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিউনিটি স্যানেটারি কমপ্লেক্সের ছবি। মঙ্গলবার বিশ্ব শৌচালয় দিবসে খুদে পড়ুয়ারা এই কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করল। উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এইরকম শতাধিক উন্নতমানের শৌচালয় নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি শৌচালয় নির্মাণ করতে ব্যয় হবে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এরকম বেশ কয়েকটি শৌচালয় তৈরি হয়ে গিয়েছে। উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রিয়াজুল হক জানান, মূলত আইসিডিএস সেন্টার, বাজার, পার্ক, বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় শৌচালয় নির্মাণ করা হবে।
অন্যদিকে, এদিন শ্যামপুর ১ নং ব্লকে ৪টি কমিউনিটি শৌচালয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনটি আইসিডিএস সেন্টারের শৌচালয়ও উদ্বোধন করা হয়। শ্যামপুর ১ নং ব্লকের বিডিও তন্ময় কার্জি জানান, আইসিডিএস সেন্টারগুলিতে ৩টি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। এইরকম আরও ২০টি শৌচালয় নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া বিশ্ব শৌচালয় দিবসকে সামনে রেখে হুগলির সিঙ্গুরে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান আয়োজন করে পঞ্চায়েত দপ্তর। বেড়াবেড়ির ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না, পঞ্চায়েতের শৌচাগার প্রকল্পের মিশন ডিরেক্টর সন্তোষা গোবি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি থেকে শৌচাগার ও পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা এবং এনিয়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। পাশাপাশি, একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধনও হয়। বেচারাম বলেন, হুগলিতে সার্বিক স্বচ্ছতা এবং প্রতি বাড়িতে শৌচাগার নিশ্চিত করার জন্য আমরা পদক্ষেপ করেছি। জেলাকে ইতিমধ্যেই নির্মল ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, এদিনই সিঙ্গুরের নসিবপুরের একটি মাঠে সমবায় সপ্তাহ পালন অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানেও মন্ত্রী বেচারাম উপস্থিত ছিলেন। জেলার সমবায় ইউনিয়ন, সমবায় দপ্তরের কর্তাদের পাশাপাশি জেলার একাধিক সমবায়ের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে ছিলেন।