তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চিকিৎসকদের সংঘাত, শান্তনুকে অপসারণের দাবি জানালেন সুদীপ্ত
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ নভেম্বর ২০২৪
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য শান্তনু সেনকে পদ থেকে সরানোর আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি দিলেন সংস্থার সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। সুদীপ্তর দাবি, কাউন্সিলের বৈঠকে পর পর ছয় বার উপস্থিত হননি শান্তনু। সেই কারণে তাঁর কাউন্সিলের সদস্যপদ খারিজ করা হোক। শান্তনুর জায়গায় নতুন কাউকে মনোনীত করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানান সুদীপ্ত।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত চিঠিটি স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে পাঠান সুদীপ্ত রায়। সেই চিঠিতে তিনি ছয়টি তারিখের উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, এই তারিখগুলিতে আয়োজিত কাউন্সিলের বৈঠকে শান্তনু উপস্থিত ছিলেন না। কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী পর পর তিনটি কাউন্সিলের বৈঠকে কোনও সদস্য উপস্থিত না থাকলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হওয়ার কথা। এই নিয়ম চিঠিতে উল্লেখ করে শান্তনুর সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানান সুদীপ্ত।
আরজি কর কাণ্ডের সময় বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন শান্তনু সেন। এই কারণে দলের একাংশের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। আরজি কর কাণ্ডের ১০০ দিনের বেশি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তৃণমূলের দুই চিকিৎসক গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল সহ একাধিক বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন শান্তনু। তারপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের রোষানলে পড়েন তিনি।
আরজি কর আবহেই কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাঁকে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অ্যাড–হক কমিটিতেও শান্তনুকে রাখেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রাথমিক পর্যায়ে শান্তনু জানিয়েছিলেন, তিনি এ বারের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে লড়বেন না। যদিও পরে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। পরে তিনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেন।
অপরদিকে রাজ্য মেডিক্যাল রেজিস্ট্রার পদে মানস চক্রবর্তীকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। রেজিস্ট্রার পদে নতুন কাউকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়কে চিঠি লিখলেন স্বাস্থ্যসচিব। চিঠিতে জানানো হয়, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পুনর্নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি।