ভবানন্দ সিংহ: আবারও চরম অমানবিক নির্যাতনের সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুর। এবার জমি বিবাদে এক গৃহবধূকে মারধর করে হাত ও কোমড়ে দড়ি দিয়ে বারান্দায় বেঁধে রাখার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে। অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ থানার এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
অভিযোগ ওই এলাকারই বাসিন্দা এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের সাথে তাদেরই প্রতিবেশী ওই গৃহবধূর স্বামীর মধ্যে জমি কেনাবেচায় আর্থিক লেনদেন নিয়ে আগে থেকেই বিবাদ চলছিল। সঙ্গে এলাকার একটি পুকুর নিয়েও এই বিবাদ চরমে ওঠে। পুলিশে অভিযোগ জানালে বিষয়টি নিয়ে থানায় উভয় পক্ষকে ডেকে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয় বলে দাবী নির্যাতিতার পরিবারের। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ার গা ঢাকা দেয় এবং তার পরিবার গ্রাম্য শালিশির কথা বলে থানায় যেতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।
এরপর মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ারের পরিবার তাদের উপর চড়াও হয় এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে রায়গঞ্জ থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বুধবার সকালে ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে তাকে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাত, কোমড়ে দড়ি দিয়ে বেধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূর পরিবার। শুধু এদিনই নয়, ইতিপূর্বেও ওই গৃহবধূকে মারধোর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিবার।
অন্যদিকে ওই গৃহবধূ হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে তাদের উপর চড়াও হতে গেলে বাড়ির মহিলারাই তাকে বেধে রাখে বলে পালটা দাবী করেন অভিযুক্তের পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ পৌছে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা তৃনমুল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির দাবী, বিষয়টি তাদের জানা। প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এটাই আশা রাখছি।