ঘটনাটি ঠিক কী? ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের গন্তব্য মন্দারমণি। বছরভর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সেই মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতের কার্যত ব্যাংকের ছাতার মতো যে হোটেলগুলি তৈরি হয়েছে, সেই হোটেলগুলি ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে নোটিশ পাঠানো হয় ১৪০ হোটেল হোটেল কর্তৃপক্ষকে। নির্দেশ, আজ বুধবারের মধ্যেই বেআইনি নির্মাণগুলি সরিয়ে ফেলতে বা ভেঙে ফেলতে হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান হোটেল মালিকরা। তাঁদের প্রশ্ন, এত মানুষের রুজি রোজগার কোথায় যাবে? কোটি কোটি টাকার হোটেল, সেগুলোর-ই কী হবে? এরপর গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেন, বাংলায় বুলডোজার চলবে না'। ফলে স্বস্তি পেলেন হোটেল মালিকরা।
কিন্তু মন্দারমণিতে সমুদ্রে ধারে ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে এভাবে পরপর হোটেল তৈরি হল কীভাবে? ২০২২ সালেও বেআইনি হোটেল ভাঙা নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ আদালত। তখনই-বা হোটেলগুলি ভাঙা গেল না কেন? হোটেল মালিকদের অভিযোগ, কোস্টার রেগুলেশন আইনে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের পর সীমানা নির্ধারণের বার্তাই আসেনি তাঁদের কাছে। ফলে সমুদ্র থেকে কতদূরে, কোনও সীমানার বাইরে নির্মাণ হবে, সে সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা ছিল না। ফলে বছরের পর বছর ধরে চলেছে যথেষ্ট নির্মাণ।